‘গান চুরি’ না অন্যকিছু! মিথ্যেবাদী ভুবন বাদ্যকর, মুখ খুলেই বিস্ফোরক গোপাল

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত লক্ষীনারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুড়ালজুড়ি গ্রামের অখ্যাত বাদাম বিক্রেতা ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar) ভাইরাল হন তার কাঁচা বাদাম (Kancha Badam) গানের জন্য। তবে বর্তমানে তিনি বাদাম উচ্চারণ করে গান করতে পারছেন না এমনই অভিযোগ এনেছেন এবং সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কান্নাকাটি করে তার পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন।

ভুবন বাদ্যকর মূলত অভিযোগ করেছেন, বীরভূমের এক মিউজিক স্টুডিওর মালিক নামমাত্র টাকা দিয়ে তাকে ঠকিয়ে তার গানের কপিরাইট কিনে নিয়েছেন। তার গানের কপিরাইট কিনে নেওয়ার ফলে তিনি তার গানের লাইন ধরে নতুন করে কোন গান গাইতে পারছেন না। নতুন করে কোন গানে কাঁচা বাদাম শব্দ দুটি থাকলেই কপিরাইট আসছে এবং গানটি ডিলিট করে দেওয়া হচ্ছে।

ভুবন বাদ্যকরের অভিযোগ মূলত গোধূলি বেলা মিউজিক সংস্থার কর্ণধার গোপাল ঘোষের বিরুদ্ধে। ভুবন বাদ্যকরের গান নিয়ে যখন নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে সেই সময় একটি সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন গোপাল ঘোষ। মুখ খুলতেই গোপাল ঘোষ ভুবন বাদ্যকরকে সরাসরি ‘মিথ্যেবাদী’ বলেছেন। এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন তিনি নিজের জায়গায় ঠিক রয়েছেন।

পাশাপাশি গোপাল ঘোষ এখনই এই বিষয়ে খুব বেশি মন্তব্য করতে নারাজ। তিনি যখনই জানতে পেরেছেন তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা জারি করেছেন ভুবন বাদ্যকর সেই সময় তিনি ঠিক করে নিয়েছেন সাংবাদিকদের ডেকে সাংবাদিক বৈঠক করে পুরো বিষয়টি খোলসা করবেন।

মূলত গোপাল ঘোষ তার ইউটিউব চ্যানেলের একটি মিউজিক ভিডিওতে ভুবন বাদ্যকরকে দিয়ে গান গাওয়ান। যে গানটি ২০২২ সালে সবচেয়ে ভিউ ভিডিওর তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এই গানের ক্ষেত্রেই কপিরাইট কেনার অভিযোগ এনেছেন ভুবন বাদ্যকর। ভুবন বাদ্যকরের অভিযোগ, গান গাওয়ার জন্য সংস্কার তরফ থেকে তাকে তিন লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরই ইংরেজিতে লেখা বেশ কিছু কাগজে সই করানো হয়। তিনি ইংরেজি পড়তে পারেন না এবং সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তার গানে কপিরাইট কিনে নেন সংস্থাটি।