Tree Aadhar: ভারতের জনসাধারণের প্রয়োজনীয় নথিপত্রগুলির মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র হলো আধার কার্ড। যা দেশের নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যে নথিপত্র মানুষের অফিশিয়াল কাজকর্ম থেকে শুরু করে সমস্ত কাজে ব্যবহার করা হয়। এই আধার কার্ডে প্রতি মানুষের নাম বয়স থেকে শুরু করে ঠিকানা, জন্ম তারিখ সমস্ত বিবরণ দেওয়া থাকে। এবার সেই ডিজিটাল আধার কার্ড নিয়ে এক নয়া সিদ্ধান্ত নিল জম্মু-কাশ্মীর সরকার। মানুষের পাশাপাশি এবার থেকে গাছেদেরও আধার কার্ড করা হবে। শুনতে অবাক লাগল এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভূস্বর্গ সরকার। কি কারনে এই সিদ্ধান্ত? কোন গাছেদেরই বা এই ট্রি আধার করা হবে?
খবর রয়েছে, ভূস্বর্গের চিনার গাছের আধার করা হবে। এই ট্রি আধারে (Tree Aadhar) থাকবে চিনার গাছগুলির প্রত্যেক খুঁটিনাটি বিবরণ। এই গাছগুলি নিয়ে একটি ডাটা বেস তৈরি করবে কাশ্মীর সরকার। প্রতিটি গাছে দেওয়া হবে জিও ট্যাগ। গাছের লোকেশন, গাছের গঠন সমস্ত কিছু তথ্য পাওয়ার জন্য গাছগুলিতে দেওয়া হবে কিউআর কোড। এমনকি এই কিউআর কোডের মাধ্যমে জানা যাবে গাছের চারিপাশের প্রাকৃতিক অবস্থা, গাছের কোনো ক্ষতি হচ্ছে কিনা সেই বিষয়েও। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত কাশ্মীর সরকারের?
সূত্র মারফতে জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের অন্যতম একটি আকর্ষণীয় গাছ হল চিনার গাছ। তবে বর্তমান সময়ে নগরায়নের ফলে ভূস্বর্গের এই বিখ্যাত গাছ বিপন্ন হতে বসেছে। ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে চিনার গাছের সংখ্যা। তাই কাশ্মীরের এই আকর্ষণীয় গাছ বিপন্ন হওয়া থেকে বাঁচাতেই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর সরকার। কিন্তু কিভাবে এই ট্রি আধার করা হবে?
আরও পড়ুন: বলতে পারবেন আমাজন নদীতে কেন কোন সেতু নেই? উত্তর চমকে দেবার মত
ট্রি আধার (Tree Aadhar) করার বিষয়ে প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সৈয়দ তারিক বলেন, প্রথমে চিনার গাছগুলির ওপর চলবে সমীক্ষা। ইতিমধ্যেই সমীক্ষা হয়ে গিয়েছে প্রায় ২৮ হাজার ৫০০ চিনার গাছের। সমীক্ষার পর প্রত্যেকটি গাছে বসানো হবে ডিজিটাল প্লেট। এ বিষয়ে প্রতি জেলার আলাদা আলাদা রেজিস্টার করা হবে। যে রেজিস্টারে থাকবে চিনার গাছের সমস্ত তথ্য সহ নতুন চিনার গাছ রোপন করার তথ্য। যার ফলে আগামী দিনে চিনার গাছ ছেদনের বদলে রোপন করবে জনসাধারণ।
প্রসঙ্গত, চিনার গাছ হল ভূস্বর্গের এক বিখ্যাত গাছ। যে গাছের আয়ু প্রায় ১৫০ বছর। লম্বায় এই গাছগুলির উচ্চতা হয় ৩০ মিটার। যা হতে সময় লাগে ৩০ থেকে ৫০ বছর। তবে বহুদিন ধরে কাশ্মীরে চিনার গাছের সংখ্যার হ্রাস হচ্ছে বলে খবর এসেছে কাশ্মীর সরকারের কাছে। আর তাই এই চিনার গাছ রক্ষা করার জন্যই ট্রি আধারের (Tree Aadhar) সিদ্ধান্ত নিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর সরকার। তবে এই মাধ্যমে কতটা গাছ সংরক্ষণ করা যায় সেটাই দেখার।