নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের অধিকাংশ মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত করার জন্য ট্রেনের উপর নির্ভর করেন। মূলত কম খরচে যাতায়াত করার সুযোগের পাশাপাশি ট্রেনে যাতায়াতে রয়েছে স্বাচ্ছন্দ এবং অনেক বেশি নিরাপত্তা। যে কারণেই কাছে হোক অথবা দূরে ভারতের নাগরিকরা যাতায়াতের জন্য রেল পরিষেবাকেই বেছে নেন।
রেল পরিষেবার এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে ভারতীয় রেল প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পরিকল্পনা করে চলেছে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে যাবে দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রেল পথগুলির সঙ্গে। রেলপথের এই সংযুক্তিকরণ হলেই সহজেই পৌঁছে যাওয়া যাবে জম্মু-কাশ্মীর থেকে শুরু করে ভূস্বর্গের বিভিন্ন জায়গায়।
সংযুক্তিকরণের এই কাজ শেষ হওয়ার পরই এক ট্রেনে হাওড়া থেকে পৌঁছে যাওয়া যাবে শ্রীনগর। চলতি বছর ভূস্বর্গে বহু পর্যটকদের আগমন দেখা গিয়েছে এবং প্রায় সব মরশুমে এই বিপুল সংখ্যক পর্যটকদের আগমন অনেক মনোবল বাড়িয়েছে পর্যটন শিল্পকে। রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, জম্মু এলাকার রামবান সেক্টরের একটি বড় অংশ জুড়ে দেশের দীর্ঘতম রেল টানেলের কাজ শেষ হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের পুরো উধমপুর-বারামুল্লা-শ্রীনগর রেল লিংকে রেল টানেলের কাজের একটি বড় অংশ সম্পন্ন হয়েছে। এই কাজ যতটাই ছিল চ্যালেঞ্জিং, ততটাই রোমাঞ্চকর। কারণ এর দৈর্ঘ্য বিশাল যা পীর-পাঞ্জাল টানেলকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। যে টানেলটি তৈরি করা হয়েছে, সেই টানেলটি সমস্ত রকম পরিবেশে মানিয়ে নিতে সক্ষম।
রেলপথের এই সংযুক্তিকরণ হয়ে যাওয়ার ফলে আগে যেখানে জম্মু-কাশ্মীর যাওয়ার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম বেছে নিতে হতো তা আর করতে হবে না। ট্রেনে সহজেই পর্যটকরা পৌঁছে যেতে পারবেন ভূস্বর্গে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এই এলাকায় রেল পরিষেবা পুরোপুরি চালু হলে হাওড়া থেকে ট্রেনে চড়েই পর্যটকরা চলে যেতে পারবেন জম্মু-কাশ্মীর।