Ahmadpur-Katwa Train: এখন আরও সহজে হবে আহমেদপুর-কাটোয়া সফর! দেখুন নতুন নতুন ট্রেনের সূচি

নিজস্ব প্রতিবেদন : আহমেদপুর থেকে কাটোয়া বা কাটোয়া থেকে আহমেদপুর রেল লাইন খুব গুরুত্বপূর্ণ রেললাইন না হলেও তা ঐতিহ্যবাহী। কেননা এই রুটেই আগে চলতো ছোট ট্রেন। পরবর্তীতে সেই লাইনকে ব্রডগেজ লাইনে পরিণত করা হয় এবং ট্রেন (Ahmadpur-Katwa Train) চলাচল শুরু হয়। ঐতিহ্যবাহী এই লাইনের উপর দিয়ে যাওয়া ট্রেনের ওপর ভর করে থাকতে দেখা যায় দুই প্রান্তিক স্টেশনের মাঝে থাকা অজস্র গ্রামের মানুষদের।

তবে জানলে অবাক হবেন, এতদিন পর্যন্ত এই লাইনের উপর দিয়ে কেবলমাত্র একটি ট্রেন আসতো আর যেত। সারাদিনে আপ ও ডাউন একবারই ট্রিপ দিত ট্রেনটি। ফলে চৌহাট্টা, গোপালপুর গ্রাম, লাভপুর, কীর্নাহার, দাসকল গ্রাম, কুরমুডাঙ্গা, কুমারপুর, নিরোল, পাচন্ডী অম্বলগ্রাম, নবগ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের ওই ট্রেনটির উপরই ভরসা করলে চলতে হতো। আর তা না হলে অন্যান্য যানবাহনের উপর ভরসা।

তবে এবার রেলের (Indian Railway) তরফ থেকে দীর্ঘ দিনের এই একটি ট্রেনের তকমা কাটানো আহমেদপুর কাটোয়া লাইনে। কেননা এবার এই রুটে আরও একটি ট্রেন চালানো হচ্ছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন একটি ট্রেন চালু করা হয়েছে। এর ফলে এখন দিনে দুটি ট্রেন আপ ও ডাউন মিলিয়ে মোট চার বার ট্রিপ দেবে। স্বাভাবিকভাবেই আগের থেকে অনেক সহজেই আহমেদপুর থেকে কাটোয়া অথবা কাটোয়া থেকে আহমেদপুর আসা যাবে।

আরও পড়ুন 👉 IPL Special Train: ইডেনে আইপিএল দেখে মাঝরাতে বাড়ি ফেরার চিন্তা শেষ! বিশেষ ট্রেন দিল রেল, রইল টাইমটেবিল ও স্টপেজ

বর্তমানে যে দুটি ট্রেন যাতায়াত করছে সেই দুটি ট্রেনের মধ্যে কাটোয়া থেকে আহমেদপুরের উদ্দেশ্যে ০৩০৫৫ কাটোয়া আহমেদপুর এক্সপ্রেস স্পেশাল প্রতিদিন সকাল ৮:২০ মিনিটে আহমেদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এবং ট্রেনটি সকাল দশটা দশ মিনিটে আহমেদপুর জংশনে এসে পৌঁছায়। ফেরার পথে অর্থাৎ ০৩০৫৬ ট্রেনটি আহমেদপুর জংশন থেকে সকাল ১০:৫০ মিনিটে রওনা দেয় এবং দুপুর ১২:৪০ মিনিটে কাটোয়া পৌঁছায়।

অন্যদিকে আরেকটি ট্রেন ০৩০৯৯ কাটোয়া আহমেদপুর মেমু স্পেশাল সকাল ১০:৫৫ মিনিটে কাটোয়া জংশন থেকে আহমেদপুর জংশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এবং আহমেদপুর পৌঁছায় দুপুর ১২:৩০ মিনিটে। এই ট্রেনটি ফেরার পথে অর্থাৎ ০৩১০০ আহমেদপুর কাটোয়া মেমু স্পেশাল দুপুর ১২:৫০ মিনিটে কাটোয়া জংশন থেকে রওনা দেয় এবং সেটি কাটোয়া পৌঁছায় দুপুর ২:২০ মিনিটে। এই লাইনে আগের তুলনায় ট্রেন সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন গ্রামগুলির মানুষেরা অনেক উপকৃত হবেন তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।