নিজস্ব প্রতিবেদন : শনিবার দেশজুড়ে করোনার টিকা বিতরণ শুরু হওয়ার প্রথম শর্ত হিসাবেই বলা হয়েছিল প্রথম দফায় টিকা পাবেন করোনা যুদ্ধের সাথে লড়াই চালিয়ে যাওয়া প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু প্রথম দিনেই এই শর্ত লংঘনের ছবি ধরা পড়লো বাংলায়।
প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা না হয়েও প্রথম করোনা টিকা অধিকারী হলেন তৃণমূলের দুই বর্তমান বিধায়ক এবং একজন প্রাক্তন বিধায়ক। এই তালিকায় আরও এক তৃণমূল বিধায়কের নাম থাকলেও বিতর্কের মাঝে পড়ে তিনি টিকা নেননি। তবে যে তিনজন ইতিমধ্যেই টিকা নিয়ে নিয়েছেন তাঁরা হলেন কাটোয়ার পুর প্রশাসক ও বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, ভাতারের বর্তমান বিধায়ক সুভাষ মন্ডল এবং প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা। বিতর্কের মাঝে পড়ে টিকা নেন নি আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী।
শনিবার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে কোভিড সেন্টারে মোট ৩৪ জনকে টিকা দেওয়া হয়। যাদের মধ্যেই রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় টিকা নেন। টিকা নেওয়ার বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, “আমার নাম এসেছে তাই আমি টিকা নিয়েছি।” বিধায়ককে টিকা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কাটোয়া হাসপাতালে সুপার নবারুণ গুপ্ত জানিয়েছেন, “রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় রোগী কল্যান সমিতির সদস্য। রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য হওয়ার কারণে টিকা নেওয়ার জন্য তার নাম পাঠানো হয়েছিল। নাম থাকায় উনি আজ টিকা নিয়েছেন।”
ঠিক একইভাবে অন্যান্য যারা প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা না হয়েও টিকা নিলেন তাদের ক্ষেত্রেও রোগী কল্যান সমিতির সদস্যের তকমা রয়েছে এমনটা দাবি করা হয়েছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের তরফ থেকে। এর পাশাপাশি প্রথম দিনেই টিকা নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে, ভাতার জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মহেন্দ্র হাজরা, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ জহর বাগদি এবং পঞ্চায়েত সমিতির শাসকদলের দলনেতা বাসুদেব যশ-এর। এদের মধ্যে অবশ্য কেবলমাত্র মহেন্দ্র হাজরার রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য পদ রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।