Bike Tips: আজকাল বেশিরভাগ মানুষেরই বাইক এবং স্কুটার রয়েছে। তবুও তারা ছোটখাটো বিষয় সম্পর্কে একেবারেই সচেতন নয়। এরফলে স্কুটার এবং বাইকের উপর পড়ে চরম প্রভাব। বাইকের মধ্যে থাকে নানা ধরনের যন্ত্রাংশ এবং সেগুলো ঠিকঠাক ভাবে কাজ করছে কিনা সেগুলো সর্বদাই খেয়াল রাখতে হয়। তাহলে রাস্তাতে মসৃণভাবে বাইক চলাচল করতে পারবে।
সকালে উঠে কাজে বেরোনোর সময় বাইক স্টার্ট দেন বহু মানুষ, কিন্তু এখানেই বারবার ছোট্ট একটা ভুল (Bike Tips) করে ফেলেন। যা বাইকের ইঞ্জিন এবং ক্লাচ প্লেটের আয়ু অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। আজকের প্রতিবেদনে আমরা জানতে পারবো কোন কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখলে আপনার বাইকের যন্ত্রাংশগুলো ঠিকঠাক থাকবে।
সকালে উঠে যখন বাইক স্টার্ট (Bike Tips) দেওয়া হয় তখন তা গিয়ারে রেখে বেরিয়ে পড়েন। অনেকের মধ্যেই এই অভ্যাস লক্ষ্য করা গেছে। যদি ইঞ্জিনকে ভালো রাখতে চান তাহলে এই অভ্যাসকে ত্যাগ করতে হবে। তার দেওয়া মাত্রই বাইক ছোটানো একেবারে ঠিক নয়। এতে ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে হয়তো আপনি এই ক্ষতির প্রভাব বুঝতে পারবেন না। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে গিয়ে এই ক্ষতির প্রভাব দেখা দিতে থাকে।
বাইক স্টার্ট দেওয়ার পর আপনাকে দশ সেকেন্ড এই বিশেষ কাজ (Bike Tips) করতে হবে। কিছুক্ষণ ধরে তা গরম হতে দিতে হবে। তবে বাইক গরম হওয়ার জন্য ২-৩ মিনিট অপেক্ষা করার দরকার নেই। বরং মাত্র ১০ সেকেন্ডেই বাইক গরম হয়ে যেতে পারে। কখনোই স্টার্ট দেবার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র গতিতে বাইক চালাবেন না। স্টার্ট দেওয়ার পরে অতিরিক্ত বাইক রেসিং যন্ত্রাংশের মধ্যে ঘর্ষণ বৃদ্ধি করে। যার জেরে বাড়ে ইঞ্জিনের ক্ষতির আশঙ্কাও। এই কারণেই মাথায় রাখতে হবে যে বাইক স্টার্ট দেওয়ার পরে সেটিকে এর নিষ্ক্রিয় আরপিএম-এ রেখে দিতে হবে।
আরো পড়ুন: টাটার ই-সাইকেল পেয়ে যান অর্ধেকেরও কম দামে, সাধ্যের মধ্যেই হবে সাধপূরণ
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য এই বিষয়ে বলেছেন যে, কিছুক্ষণের জন্য বাইক গরম করলে ইঞ্জিনের আয়ু বৃদ্ধি হয়। আসলে অনেকক্ষণ বাইক নিষ্ক্রিয় থাকলে ইঞ্জিনের তেল ইঞ্জিনের ভিতরের একটা জায়গাতেই জমা হয়। এর ফলে ইঞ্জিনের বিভিন্ন জায়গার পিচ্ছিল ভাব কমে যায়। বাইক স্টার্ট দেওয়ার সাথে সাথেই যদি তীব্র গতিতে চালানো হয় তাহলে ইঞ্জিনের ক্ষতি হতে পারে। অন্যদিকে যদি বাইক স্টার্ট দিয়ে কিছু সময়ের জন্য তা রেখে দেওয়া হয়, ফলে ওই অংশের লুব্রিকেশন হয়ে যায়।
যখন ঠান্ডা পড়বে তখনো বাইক(Bike Tips) গরম করে তারপরেই চালাবেন। ঠান্ডা তাপমাত্রার কারণে ইঞ্জিন অয়েল ঘন হয়ে যেতে পারে। তবে স্টার্ট দেওয়ার পরে ১০ সেকেন্ড সময় দিলেই তা গরম হয়ে যাবে। এরপর বাইকের গিয়ার লো-এ রেখে কম দূরত্বে ঘণ্টা প্রতি ২০-৩০ কিলোমিটার গতিতে চালাতে হবে। আস্তে আস্তে গতি বাড়ালে কোন সমস্যা দেখা দেবে না।