নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা প্রতিরোধে দেশের একের পর এক রাজ্য যখন হিমশিম খাচ্ছে তখন কেরল সারা দেশকে দিশা দেখাচ্ছে। কেরলের বিজোয়ন সরকারের একের পর এক সচেতন পদক্ষেপে করোনা ভাইরাস অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণের এই রাজ্যে। সেই পদক্ষেপের ধারা ধরে নতুন নির্দেশিকা জারি করলো কেরল সরকার। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২০২১ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে কেরলবাসীকে।
একবছরের অভিন্ন গাইডলাইন
১. আগামী ১ বছর বাড়ির বাইরে বেরোলেই বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মাস্ক পরতে হবে।
২. নির্দেশিকায় উল্লেখিত দূরত্ব রেখে জনসমাগম এলাকায় ঘোরাফেরা করা যাবে।
৩. ১০ হাজার টাকা জরিমানা হবে প্রকাশ্য জায়গায় মাস্ক না পরলে।
৪. আগামী ১ বছর বিবাহ অনুষ্ঠানগুলিতে ৫০ জনের বেশি ব্যক্তি জড়ো হতে পারবেন না।
৫. কোভিড রোগী নন এমন কারও মৃত্যু হলে শেষকৃত্যে ২০ জন পর্যন্ত ব্যাক্তি উপস্থিত থাকতে পারবেন।
৬. সামাজিক জমায়েতের প্রয়োজন হলে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।
৭ . প্রকাশ্য জায়গায় ফেলা যাবে না থুতু। ফেললে হবে জরিমানা।
৮. দেশের অন্য প্রান্ত থেকে কেরলে যেতে হলে ই-প্ল্যাটফর্মে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে, না হলে রাজ্যের মধ্যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাবে না।
৯. দোকানগুলিতে ২০ জনের বেশি জমায়েত হতে পারবে না। ওই ২০ জনকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
কেরলের স্বাস্থ্য মন্ত্রী কে.কে. সায়িয়ালাজা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “কেরলে এই মুহূর্তে ৫,২০৪ আক্রান্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। কেরলের বিভিন্ন জেলাতে ১.৭৭ লাখ মানুষের উপর নজর রাখছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। এর মধ্যে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৪৪ জন বাড়ি ও সরকারি কোয়ারেন্টাইনে আছেন। ২,৯১৫ জন আছেন রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে। মৃত্যু হয়েছে মাত্র ২৫ জনের।”
লকডাউনের পর আনলক ২ পর্ব চলছে। ফলে লকডাউনের প্রাথমিক কড়াকড়ি অনেকটাই শিথিল হয়েছে। ফলে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আর রাজ্যে করোনা আক্রান্ত বাড়ায় নতুন করে এই কঠোর নির্দেশিকা কেরল সরকার ঘোষণা করেছে বলে মনে করা হয়েছে।