নিজস্ব প্রতিবেদন : গোটা বিশ্বই এখন করোনা ভীতিতে ভুগছে। এখনো অবধি এই মারণ ভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন বেরোয় নি, তাই লকডাউনই এখন একমাত্র উপায়। অনান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও জারি হয়েছে লকডাউন। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে।অথচ এখনো মানুষ সচেতন হচ্ছেন না।
অপরদিকে করোনার জন্য যে দীর্ঘ লকডাউন চলছে এর ফলে রাজস্ব আদায়ও হচ্ছে না। আর্থিক দিক থেকে একটা বড় ধাক্কা খাচ্ছে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার। প্রতিটা রাজ্যই এখন এই আর্থিক ভরাডুবি সামাল দিতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু কেরলের সরকারের মতো সিদ্ধান্ত এখনো অবধি কেউ নিতে পারেন নি। এর আগে গত বুধবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছিলেন যে রাজ্যের সকল নির্বাচিত প্রতিনিধি অর্থাৎ মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রশাসনিক বিভাগের সকল সদস্যের ৩০ শতাংশ বেতন কেটে নেবেন। এই কেটে নেওয়া অর্থ যাবে করোনা মোকাবিলায়। আর এবার আজ অর্থাৎ শুক্রবার তিনি বললেন রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের ও বেতন কাটা হবে করোনা থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে।
কীভাবে কাটা হবে বেতন?
আগামী ৫ মাস ধরে এই বেতন কেটে নেওয়া হবে। প্রতি মাসের ৬ দিনের বেতন কাটা হবে আর এই টাকা চলে যাবে করোনা ত্রাণ তহবিলে।
সকল কর্মচারীদের বেতনই কি কাটা হবে?
না, যাদের বেতন কুড়ি হাজারের কম তাদের কোনো বেতন কাটা হবেনা বলেও জানিয়ে দেন এদিন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী যে পদক্ষেপ নিয়েছেন এটি একটি বলিষ্ঠ পদক্ষেপ বলে মতামত পোষণ করেছেন অনেকেই। করোনা মোকাবিলায় এই পদক্ষেপ নেওয়া সত্যি অত্যন্ত জরুরি ছিল বলেও তাঁরা মনে করেন।