করোনা মোকাবিলায় ম্যাজিকের মত কাজ করা কেরল মডেল আশা যোগাচ্ছে দেশকে

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের প্রথম করোনা সংক্রামিত রোগের খোঁজ পাওয়া যায় কেরলেই। আজ থেকে প্রায় ১০০ দিন আগে এই রাজ্যে প্রথম রোগীর খোঁজ মেলে। পরবর্তীকালে দেখা গিয়েছে এই রাজ্য দেশের সবথেকে বেশি করোনা সংক্রামিত ব্যক্তির সংখ্যা। কিন্তু আর নয়, সেই সংক্রামিত সংখ্যাকে আটকে আজকের দিনে কেরলে মোট সংক্রামিত ব্যক্তিদের সংখ্যা হল ৩৭০। যেখানে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, তেলঙ্গানা, উত্তর প্রদেশ ও অন্ধ্রপ্রদেশের মত রাজ্য কেরলের সংক্রমণের সংখ্যাকে কয়েকগুণ ছাপিয়ে গেছে। শুধু তাই নয় কেরলে বর্তমানে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এই রোগ।বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২২০ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৪০ জনেরও বেশি মানুষ। আর মৃতের সংখ্যা মাত্র ২।

Advertisements

Advertisements

দেশে যখন প্রতিটি রাজ্যে করোনা সংক্রামিতদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে তখন এই রাজ্য কিভাবে এমন ম্যাজিক করে দেখালো। যখন দেশে বাড়ছে লকডাউনের মেয়াদ তখন কেরলের ম্যাজিকের মতো কাজ করা মডেলই আশা যোগাচ্ছে দেশকে। চলুন দেখে নেওয়া যাক কেরল কি কি পদক্ষেপ নিয়েছিল বা নিয়েছে করোনা মোকাবিলায়।

Advertisements

অতি দ্রুত নীতি নির্ধারণ করে সম্ভাব্য সর্বাধিক সংক্রামিতদের গণনা। পাশাপাশি সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করা।

সংক্রামিত রোগীদের পূর্ববর্তী গতিবিধি নির্ধারণের মাধ্যমে রুট ম্যাপ তৈরি করা।

কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ ২৮ দিন নজরবন্দি ও চিকিৎসাধীন রাখা। পাশাপাশি তাদের সচ্ছল পরিষেবার জন্য পছন্দমত খাবার, ওয়াইফাই কানেকশন, ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে মানসিক সুস্থতা বজায় রাখা।

গুজব আর ভুয়ো তথ্য আটকে সঠিক তথ্য পরিবেশনের জন্য GOKdirect অ্যাপ অতি দ্রুত চালু করা।

আঞ্চলিক স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করা।

দ্রুত করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য আঞ্চলিক কিয়ক্স গঠন করা।

গৃহবন্দী মানুষদের সুস্থ সবল রাখার জন্য, কাজ ও বিনোদনের জন্য ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বাড়তি ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়া।

বর্তমানে দেশের অনেক রাজ্যই কেরলের এই মডেলকে অবলম্বন করার চিন্তাভাবনা করছে। অসমের সর্বদলীয় বৈঠকেও উঠে এসেছে কেরল মডেলের কথা।

Advertisements