নিজস্ব প্রতিবেদন : কেরোসিন তেল এখন সেই ভাবে ব্যবহার না হলেও দুঃস্থ দরিদ্র নিম্নবিত্ত পরিবারগুলির কাছে এই কেরোসিন তেল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে দিনের পর দিন অন্যান্য জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি কেরোসিন তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম সমস্যার সম্মুখীন এই সকল পরিবারের সদস্যরা।
পেট্রোল-ডিজেলের লাগামছাড়া দাম বৃদ্ধির পর দিন কয়েক আগে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে শুল্ক কমিয়ে দাম বেশ কিছুটা কমানো হয়। পেট্রোল-ডিজেলের দাম নিয়ে যখন শুল্ক ছেড়ে দাম কমানো হচ্ছে সেই সময় আবার কেরোসিন তেলের দাম ফের একবার বাড়ল। জুন মাসে রেশনের যে কেরোসিন তেল পাওয়া যায় তাতে নতুন করে পাঁচ টাকা বৃদ্ধি হয়েছে।
নতুন করে কেরোসিন তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বেশ কিছু জেলায় এই কেরোসিন তেলের লিটার প্রতি দাম দাঁড়াচ্ছে ৯০ টাকা। মে মাসে এই কেরোসিন তেলের লিটার প্রতি দাম ছিল ৮৩ থেকে ৮৭ টাকা। যেভাবে কেরোসিনের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে তা দিন কয়েকের মধ্যেই ডিজেল ও পেট্রোল ছুঁয়ে ফেলবে। এমনিতেই মার্চ মাস থেকে জুন পর্যন্ত লিটার কেরোসিন তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৩০ টাকা।
গতকাল রাষ্ট্রায়াত্ত তেল সংস্থাগুলি কেরোসিন তেলের নতুন দাম ঘোষণা করেছে। নতুন দাম ঘোষণা করার পরেই দেখা যাচ্ছে জুন মাসেও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কেরোসিন তেলের। তবে দিন দিন এইভাবে কেরোসিন তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিচ্ছে নিম্নবিত্ত পরিবারগুলিকে।
কেরোসিন তেলের দাম এই ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়ার সভা করার সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দাম এতটা বেড়ে গিয়েছে যে গরীব মানুষ স্টোভেও রান্না করতে পারছেন না। কাঠ–ঘুঁটে জ্বালাতে হচ্ছে।’ এর পাশাপাশি রেশন ডিলারদের তরফ থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে, নতুন করে দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জুন মাসে আরও কমবে কেরোসিন তেল বিক্রি।