শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী : ‘টুরু ন্যাকামি!’ ভাবছেন এই টুরু ন্যাকামি আবার কিসে হলো? গাঁটছড়ার নতুন প্রোমো নিয়েই দর্শকদের এমন মন্তব্য। ধারাবাহিকের শুরু থেকেই ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছে। আবারো নতুন বিয়ের দৃশ্য নিয়ে দর্শকদের ব্যাঙ্গের শিকার হতে হলো।
ধারাবাহিকে গৌরব চট্টোপাধ্যায়কে দেখা যাচ্ছে কোটিপতি হিরে ব্যবসায়ী পরিবারের বড়ো ছেলে ঋদ্ধিমানের চরিত্রে। নতুন প্রোমো অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, দ্যুতির প্রেমে পড়ে তাকে বিয়ে করতে চলেছিল ঋদ্ধিমান কিন্তু বউ বরের ছোট ভাই রাহুলের হাত ধরে পালিয়েছে। শেষ মুহূর্তে কনে পালিয়ে যাওয়ায় সমস্যা বেঁধেছে বিয়ের আসরে।
তারপর গল্প মোড় নিয়েছে বিয়ের আসরে মায়ের নির্দেশে খড়ি বিয়ে করতে হাজির কনের সাজে। দর্শকদের এই দৃশ্য দেখে প্রশ্ন হলো, এমন একই দৃশ্য আগেও বহু ধারাবাহিকে উঠে এসেছে ফলে একই রকম ঘটনাবলী এত বছর পরেও আবার দেখানো হয়েছে এই ধারাবাহিকে।
২০২২ এ পৌঁছেও দর্শকদের যে নির্মাতারা নতুন কিছুই উপহার দিতে পারেননি এমনকি এত দক্ষ অভিনেতাদের সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলেন না ধারাবাহিকে এই প্রশ্নই বারবার উঠে এসেছে।
ঠিক তারপরের অংশেই দেখা গিয়েছে সিঁদুরদানের আগের মুহূর্তে ঘোমটা তুলে নিজের পরিচয় সামনে আনতে খড়িকে। আর দ্যুতির জায়গায় খড়ি কে দেখে বর আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় সেই মুহূর্তেই। ঠিক সেই মুহূর্তেই আবার বিয়ের মণ্ডপে হাজির সাংবাদিক। যাঁরা প্রশ্ন করে ফেলছেন, বিয়ে কি তবে বন্ধ হয়ে যাবে নাকি কিন্তু বরের মুখে তখন অন্য কথা শোনা যায়।
সবাইকে চমকে দিয়ে সিঁদুর পরিয়ে দিতে দিতে ঋদ্ধিমানকে বলতে শোনা যাবে, ‘ঠকিয়ে বড়োলোকের বাড়ির বউ হওয়ার মাশুল তুমি দেবে সারাজীবন।’ ধারাবাহিকের শুরু থেকেই দুজন দুজনকে সহ্য করতে না পারলেও শুরুতেই ঋদ্ধিমানের হাত থেকে সিঁদুর উড়ে গিয়ে খড়ির সিঁথিতে পড়ার ঘটনা দেখানো হয়েছিল তারপর এমন কাণ্ড। এখন দর্শককুল তাকিয়ে রয়েছে অবশেষে বরের মন গলে কবে!