লাল্টু : বালিজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান শিবঠাকুর মন্ডলের এক অভিযোগে এখন দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট মন্ডল পুলিশী হেফাজতে। এমন পদক্ষেপ নেওয়ার পর শিব ঠাকুর মন্ডল সদর্পে বলেছিলেন, অন্য কেউ এমন পদক্ষেপ নিতে সাহস করেন না যা তিনি করেছেন।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনুব্রত মণ্ডল দুবরাজপুরের তৃণমূল কার্যালয়ে শিব ঠাকুর মন্ডলকে ডেকে টুঁটি চেপে ধরেছিলেন। মূলত দল থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণেই তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল এবং এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই সুযোগ বুঝে দুবরাজপুর থানায় সোমবার অভিযোগ করেছিলেন শিব ঠাকুর মন্ডল।
শিব ঠাকুর মন্ডলের এমন সাহসী পদক্ষেপের পর তিনি এখন মিডিয়ার অন্যতম আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তাকে হামেশাই দেখা যাচ্ছে টিভির পর্দায়, উঠে আসছেন খবরের শিরোনামে। এই শিব ঠাকুরই রাজনীতিক ছাড়াও একজন কীর্তনীয়া। খবরের শিরোনামে উঠে আসার পর এখন তার পুরাতন সব কীর্তন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
শিব ঠাকুর মন্ডল জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে তিনি প্রথম তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করে বালিজুরি পঞ্চায়েতের প্রধান হন। তারপর অন্যান্যদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে তাকে প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি বিভিন্ন জায়গায় কীর্তন করে সংসার চালাতে থাকেন এবং পুনরায় ঈশ্বরের কৃপায় ২০১৮ সালে প্রধানের পদে বসেন।
শিব ঠাকুর মন্ডল জানিয়েছেন, তিনি বিভিন্ন জায়গায় কীর্তন করেন এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে বহু মানুষের সঙ্গে তার সুপরিচিতি রয়েছে। পাশাপাশি ভগবানের নাম নিয়ে তিনি থাকেন বলেই তাকে ঈশ্বর পুনরায় প্রধানের পদে ফেরান। যদিও ২০১৮ সালে বালিজুরি পঞ্চায়েতের প্রধান পদ মহিলা হয়ে যাওয়াই তার আর প্রধান হওয়া হয়নি।