নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছরের শুরু থেকে একের পর এক সঙ্গীতশিল্পীদের জগত ছেড়ে চলে যাওয়া সংগীত জগতে শূন্যতা তৈরি করছে। লতা মঙ্গেশকর, বাপ্পি লাহিড়ীর মত কিংবদন্তি তারকাদের চলে যাওয়ার পাশাপাশি মঙ্গলবার রাতে সকলকে ছেড়ে চলে যান কে কে। তার এইভাবে অকালপ্রয়াণ নতুন করে শূন্যতা তৈরি করল সংগীত জগতে।
তিলোত্তমার বুকে অনুষ্ঠান করতে এসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া, তারপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জানিয়ে দেওয়া তিনি আর নেই। কেকের হাত ধরে নতুন প্রজন্ম আবেগে ভাসছে শিখেছিল। আর তার এই ভাবে চলে যাওয়া সেই সবকিছুকে যেন আবেগ শূন্য করে দিল। সংগীতশিল্পী হিসেবে কেকের সংগীত জগতে পা রাখার পেছনে রয়েছে লম্বা এক কাহিনী।
মায়ের কাছে মালায়ালি গান শুনেই সংগীতের প্রতি ভালোবাসা জন্মেছিল কে কের। তার মায়ের গাওয়া গান তার বাবা ছোট্ট একটি টেপ রেকর্ডারে রেকর্ড করে রাখতেন। কে কে সেই সময় দিল্লির সেন্ট ম্যারি স্কুলে পড়াশোনা করতেন। সবচেয়ে বড় বিষয়গুলি হাজার গানে মুগ্ধ গোটা বিশ্ব, সেই কেকে কোন দিন গানের তালিমই নেন নি। এমনটা শুনে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব।
শোলে সিনেমার মেহেবুবা গানটি কেকের সবচেয়ে প্রিয় গান ছিল। তিনি যখন দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়াশোনা করেন সেই সময় এই গান প্রথম স্টেজে পারফর্ম করেছিলেন। খুব ছোট বয়স থেকে গানকে নিজের জীবনের অঙ্গ বানিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৩ সালে কে কে রাজা রানী সিনেমা জব অন্ধেরা হোতা হে গানটি গেয়েছিলেন। এই গানটি ছিল তার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট।
বিয়ের পর বাবা এবং বউয়ের সমর্থন পেয়ে চাকরি ছেড়ে সঙ্গীত চর্চা শুরু করেন। নিজে একটি কিবোর্ড কিনেছিলেন এবং সেই কিবোর্ড দিয়ে নিজের মতো করে জিংগেল তৈরি করতেন। তাকে এই কাজে সাহায্য করতেন শিবানী কাশ্যপ এবং শৈবাল বসু। এরপর ডাক আসে মুম্বাইয়ে এবং প্রায় ৩০০০ জিংগেলসে কণ্ঠ দেন কে কে। এই ভাবে শুরু করা এই গায়কের ঝুলিতে রয়েছে বলিউডের একশো-এর বেশি হিট গান। তবে তা হলেও সেই হিসেব মতো পুরস্কার আসেনি তার ঝুলিতে।