নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের সেই শ্রেণীর মানুষ যারা প্রতিনিয়ত নিজেদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলাচ্ছেন তারা হলেন চাষী বা কৃষক (Farmer)। এই চাষী বা কৃষকরা যেভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে থাকেন সেই অনুযায়ী তারা মুনাফা লাভ করতে পারেন না এমনই অভিযোগ তোলা হয় বারংবার। তাদের ফলানো ফসলে অন্যরা মুনাফা লুটে বড়লোক হয়ে যায় তা বারংবার নজরে আসে। তবে এই রকম পরিস্থিতি থেকে চাষীদের রক্ষা করার জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প আনা হয়।
আমরা প্রত্যেকেই জানি, কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে দেশের ১০ কোটির বেশি কৃষকদের প্রতিবছর প্রধানমন্ত্রী কৃষক-সম্মাননিধি প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়ে থাকে। কৃষকদের এই আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি এবার এমন এক প্রকল্প আনা হয়েছে যার মধ্য দিয়ে তাদের রোজগার সুনিশ্চিত হবে। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে চালু করা এই প্রকল্পের নাম হল প্রধানমন্ত্রী অন্নদাতা আয় সংরক্ষণ অভিযান (Pradhan Mantri Annadata Aay SanraksHan Abhiyan বা PM-AASHA)।
২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় বাজেটে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এই প্রকল্পের কথা বলা হয়েছিল। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এই প্রকল্পের ঘোষণা করা হয় মূলত প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী। কেননা সরকারে আসার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন, তারা সরকারে এলে দেশের প্রতিটি কৃষকের আয় সুনিশ্চিত করবেন। সেই মতো উৎপাদিত ফসলের ক্ষেত্রে লাভজনক দাম প্রদানের জন্যই এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।
এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে সরকারের তরফ থেকে চাষীদের পরিস্থিতি এবং বাজার যাচাই করার পর খাদ্যশস্যের দাম নির্ধারণ করা হয়। যেমন আমরা দিন কয়েক আগেই দেখেছি সরকারের তরফ থেকে খরিফ শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে প্রায় দেড় গুণ। এছাড়াও এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে উৎপাদিত ফসলের দাম পড়ে গেলে তার ঘাটতি মেটানো, বেসরকারিভাবে সংগ্রহ এবং মজুতদার প্রকল্প ইত্যাদি কাজ করা হয়।
এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে যেমন সমস্ত কিছু যাচাই করে উৎপাদিত খাদ্য দ্রব্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকে ঠিক সেই রকমই আবার স্বচ্ছতার সঙ্গে এই সকল ফসল কেনার পথও তৈরি করা হয়। মোটের উপর কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্প চালু করেছে কৃষকদের রোজগার এক জায়গায় আটকে না রেখে তা বৃদ্ধি করার জন্য।