নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে দেশের কৃষকদের (Farmers) জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকল্প চালু করা হয়ে থাকে। এই সকল প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো কৃষকদের আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে উন্নত করা। কেননা কৃষকরা হলেন দেশের অন্নদাতা। তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশবাসীদের জন্য অন্ন জুগিয়ে থাকেন। যে কারণে তাদের উন্নয়ন হলো সরকারের প্রথম লক্ষ্য।
কৃষকদের উন্নয়নের জন্য সরকারের তরফ থেকে যে সকল প্রকল্প চালু করা হয়েছে তার মধ্যে মুখে মুখে প্রচলিত প্রকল্প হল প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধি যোজনা। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের নাম নথিভূক্ত থাকা কৃষকরা বছরে ৬ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকেন। কিন্তু এর বাইরেও প্রধানমন্ত্রী কুসুম যোজনা (PM Kusum Yojana) বা প্রধানমন্ত্রী কিসান উর্জা সুরক্ষা ইভম উত্থান মহাবিয়ান যোজনা লক্ষ লক্ষ টাকার সুবিধা দিচ্ছে দেশের কৃষকদের।
কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্প যেহেতু ঘুরিয়ে কৃষকদের লক্ষ লক্ষ টাকার সুবিধা দিয়ে থাকে তাই বিষয়টি নিয়ে অনেককেই জানেন না। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে এবং কৃষি খাতে সেচ ও ডি ডিজেলাইজেশনের উৎস হিসাবে ২০১৯ সালে প্রকল্পটি চালু করা হয়েছিল। এই প্রকল্প চালু করা হয় কেন্দ্র সরকারের নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে। এই প্রকল্পের আওতায় কি সুবিধা দেওয়া হয় চলুন দেখে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন ? Ration Shop: শুধু চাল, গম নয়! রেশন কার্ড থাকলেই মিলবে দুধ, ঘি! বড় পরিকল্পনা কেন্দ্রের
কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে মূলত গ্রামীণ এলাকায় সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র সরবরাহ করা হয়। কৃষকদের উন্নয়ন করার পাশাপাশি এই প্রকল্পের অন্য একটি উদ্দেশ্য হলো পরিবেশ দূষণ কমানো। সৌর বিদ্যুতের ব্যবহারের মাধ্যমে অজীবাশ্ম জ্বালানি উৎস থেকে বিদ্যুৎ শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা। এই প্রকল্পের আওতায় কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে সৌর পাম্প ইনস্টলেশন করার ক্ষেত্রে ৯০% পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হয়ে থাকে। সৌর চালিত পাম্পের মাধ্যমে জল সরবরাহ করে কৃষকরা সহজেই অনুর্বর জমি উর্বর করে লক্ষ লক্ষ টাকার ফসল ফলাতে পারেন।
কেন্দ্র সরকারের এমন একটি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য কয়েকজন কৃষক একত্রিত হয়ে আবেদন জানাতে পারবেন। এছাড়াও আবেদন জানানো যাবে পঞ্চায়েত, সমবায় ইত্যাদির তরফ থেকেও। এমন সোলার পাম্প লাগানোর জন্য যে খরচ হবে তার মধ্যে ৬০% কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ভর্তুকি হিসাবে দেওয়া হবে। ৩০ শতাংশ কৃষকদের ঋণ আকারে দেবে কেন্দ্র আর বাকি ১০ শতাংশের খরচ দিতে হবে কৃষকদের।