চন্দ্রযান ৩ সফলতার মাঝেই চিনের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ! কি পরিকল্পনা জানেন!

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) এর সফলতা ভারতীয়দের কাছে বড় এক সফলতার পাশাপাশি বিশ্বের কাছেও তা নতুন দিগন্ত তৈরি করেছে। কেননা ভারত প্রথম দেশ হিসাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করিয়েছে চন্দ্রযান। ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীদের কাছে এটি ছিল বড় এক চ্যালেঞ্জ। তবে সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেই এমন সফলতা এনে দিয়েছে ভারত। তবে এমন সফলতার মধ্যেই চিনের (China) বিরুদ্ধে উঠছে বেশ কতকগুলি ভয়ঙ্কর অভিযোগ।

চাঁদ জয়ের লক্ষ্যে ২০০৭ সাল থেকে চীন লাগাতার প্রচেষ্টা শুরু করেছিল। চ্যাং ১ এবং চ্যাং ২ নামে দুটি নভোযানকে চাঁদের কক্ষপথে ইতিমধ্যেই স্থাপন করে দিয়েছে চীন। এরপর আবার চ্যাং ৩ নামে একটি মহাকাশযান পাঠানো হয়েছিল এবং তার মধ্যেই ছিল ইউ টু রোভার। চন্দ্রপৃষ্ঠে একাধিক গবেষণা চালিয়েছে এই রোভার। কিন্তু এরপরেও থেমে থাকে নি চীন। ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর চ্যাং ৪ মিশনও সফল করে তারা। চাঁদের বুকে ভন কারমান নামে একটি গর্তের পাশে সফলভাবে ল্যান্ডিং করে ওই মহাকাশযান।

এর পরের বছর ফের চাঁদে মহাকাশযান পাঠায় চীন এবং সেখান থেকে চন্দ্রপৃষ্ঠের নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই ল্যান্ডারটিতে রয়েছে বিশেষ ড্রিল মেশিন, রোবোটিক হাত। এসব দিয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে চার কেজি পর্যন্ত মাটি এবং ধুলো সংগ্রহ করার ক্ষমতা রয়েছে। চীনের এইভাবে একের পর এক সাফল্য এবং ভারতের প্রথম দক্ষিণ মেরুতে সফলতা নিয়ে এখন শুরু হয়েছে নানান কাটাছেঁড়া।

অন্যদিকে এই সকল ঘটনার মধ্যেই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, চাঁদের বুকে পাকাপাকি ভাবে বসতি গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে চীনের। আগামী দিনে তারা সেখানে বহুতল বানাতে চাইছে। চাঁদের মাটিতে বসতি গড়ে তোলা সম্ভব হবে কিনা তা অদূর ভবিষ্যৎ বলবে। তবে ইতিমধ্যেই চীন এই ধরনের নানান পরিকল্পনা নাকি গ্রহণ করে ফেলেছে বলে জানা যাচ্ছে।

চাঁদের মাটিতে বহুতল তৈরি করার পরিকল্পনা কতদূর বাস্তবায়িত হবে তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি অথবা চীনের লুকোচুরি স্বভাবের মধ্যে ঠিক কি পরিকল্পনা রয়েছে তাও জানা সম্ভব হয়নি। তবে মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের চীনের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুলতে দেখা যাচ্ছে। মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের অভিযোগ, চাঁদে থাকা খনিজ সম্পদ লুঠ করার পরিকল্পনা রয়েছে চীনের। আর সেই জন্যই তারা সেখানকার মাটি সংগ্রহ করছে।