Kojagari Puja 2024: ঠিক কোন দিন দেওয়া যাবে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা, ১৬ নাকি ১৭ই অক্টোবর!

Prosun Kanti Das

Updated on:

Advertisements

Kojagari Puja 2024: কোজাগরী পূজা শারদীয় পূর্ণিমায় উদযাপিত হয়, যা বাংলা মাস অনুযায়ী আশ্বিন পূর্ণিমাও বলা হয়। দেশের অনেক জায়গাতে বিশেষত গ্রামবাংলায় এই পূজার একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। কিছু রাজ্যে কোজাগরী ব্রতকে কখনও কখনও কৌমুদি ব্রত নামেও উল্লেখ করা হয়। সাধারণত পূর্ণিমার দিনেই যেহেতু কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো হয়ে থাকে, তাই একটি নির্দিষ্ট তারিখকেই ধরা হয়। তবে এবার দুর্গা পূজা থেকে শুরু হয়েছে এক আশ্চর্য দোলাচল। লক্ষ্মী পূজাতেও এর কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি। তাই সাধারণ মানুষের মনে এখন একটাই প্রশ্ন – কোজাগরী লক্ষী পূজো (Kojagari Puja 2024) ঠিক কবে ১৬ই অক্টোবর নাকি ১৭ই অক্টোবর? আগামী বুধবার নাকি বৃহস্পতিবার?

Advertisements

কথিত কোজাগরী পূজার (Kojagari Puja 2024) রাতে চাঁদের রশ্মি থেকে অমৃত ঝরে পড়ে, যা মানুষের জন্য আশীর্বাদ নিয়ে আসে। তাই উৎসবের এই দিনটিতে এই রাতের বেলা পায়েশ তৈরি করে সারা রাত চাঁদের আলোতে রেখে দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। প্রথা অনুসারে, এই দিনে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করলে লক্ষীর আশীর্বাদ বর্ষিত হয়।

Advertisements
২০২৪-এর কোজাগরী পূজা তারিখ এবং সময়
  • কোজাগরী ব্রতের দিন দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। আপনার করা পূজায় মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হলে আপনি ধন-সম্পদের আশীর্বাদ পেতে পারেন।
  • কোজাগরী পূজা বুধবার, ১৬ই অক্টোবর, ২০২৪
  • কোজাগরী পূজা (Kojagari Puja 2024) নিশিতা কাল (পূজা মুহুর্ত) – রাত ১১:৪৩ PM থেকে ১২:৩২, অর্থাৎ ৪৮ মিনিট।
  • কোজাগরী পূজার দিনে চন্দ্রোদয় – ৫.১৩ মিনিটে
  • পূর্ণিমার শুরু – ১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮.৪০ থেকে
  • পূর্ণিমার শেষ – ১৭ই অক্টোবর, ২০২৪-এ বিকেল ৪.৫৫ মিনিটে

আরো পড়ুন: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজার পর এবার লক্ষ্মী পুজোতেও ভাসতে চলেছে কলকাতা

কোজাগরী ব্রতের তাৎপর্য

কোজাগরী পূর্ণিমার দিনে শারদ পূর্ণিমাও পালিত হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে শোনা যায় যে, এই দিনে দেবী লক্ষ্মী তার ভক্তদের দর্শন করেন। মাতা লক্ষ্মীর আটটি রূপ রয়েছে, এই রূপগুলির মধ্যে যে কোনও একটির ধ্যান করলে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। দেবী লক্ষ্মীর আটটি রূপ হল – ধনলক্ষ্মী, ধন্য লক্ষ্মী, রাজলক্ষ্মী, বৈভবলক্ষ্মী, ঐশ্বর্য লক্ষ্মী, সান্তনা লক্ষ্মী, কমলা লক্ষ্মী এবং বিজয় লক্ষ্মী।

Advertisements

এই দিনে বিশেষভাবে মিষ্টান্ন তৈরি করা হয় কারণ এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই মিষ্টি দুধ থেকে তৈরি করা হয় যা চাঁদের প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। এছাড়া এই দিনে রাত্রি জাগরণেরও বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে এই দিনে। কথিত আছে, এই রাতে দেবী ভক্তদের বাড়িতে যান, যারা জেগে থাকেন, দেবী লক্ষ্মীর কৃপা বর্ষণ করেন।

কোজাগরী উপবাস রাখার মাধ্যমে, দেবী লক্ষ্মী তার ভক্তদের এবং তাদের পরিবারকে সুখ ও সমৃদ্ধির উপহার দেন। শুধুমাত্র শারদ পূর্ণিমার দিনে এই উপবাস করা হয়। পূর্ণিমা অনুযায়ী ১৬ এবং ১৭ দুটো তারিখেই লক্ষ্মীপূজো করা যাবে।

Advertisements