Last station in India: জানেন ভারতের শেষ রেল স্টেশন কোনটি! যেখান থেকে পায়ে হেঁটে যাওয়া যায় বিদেশ

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Know about the last railway station in India: দেশে যোগাযোগের সবথেকে বড় মাধ্যম হলো ভারতীয় রেল। ব্রিটিশরা কিন্তু প্রথম এদেশে রেলব্যবস্থা চালু করে। বর্তমানে ভারতে রেলস্টেশনের সংখ্যা অসংখ্য। প্রত্যেকটি স্টেশনের আলাদা আলাদা গল্প থাকে যেমন ভারতের লাস্ট স্টেশনের নাম সিঙ্গাবাদ (Last station in India)। এটি কোথায় অবস্থিত? মালদার হাবিবপুরে অবস্থিত সিঙ্গাবাদ স্টেশনটি। এটি দেশের সবথেকে প্রাচীন এবং শেষ রেলস্টেশন এবং একেবারে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত। স্বাধীনতার আগে ব্রিটিশদের আমলে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল এবং এর চেহারা আজও একই রকমই রয়ে গেছে। তবে বর্তমানে এটি পণ্য পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হয়।

Advertisements

সিঙ্গাবাদ স্টেশন (Last station in India) বন্ধ হয়েছিল দীর্ঘদিন ধরে। স্বাধীনতার পর ভারত পাকিস্তান আলাদা হয়ে যাওয়ার পর থেকে এটি প্রায় পরিতক্ত হয়েছিল। আবার ১৯৭৮ সাল থেকে এই রূপ দিয়ে চালু করা হয় পণ্যবাহী ট্রেন। ভারত থেকে বাংলাদেশ মালপত্র পরিবহন করা হতো এই রুটের মাধ্যমে। ২০১১ সালের নভেম্বর নাগাদ পুরনো চুক্তি সংশোধন করা হয়েছিল এবং নেপালকে তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

Advertisements

নেপালগামী বহু ট্রেন এখন এখান থেকে যাতায়াত করে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, নেপালে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা হয়। পণ্যবাহী ট্রেনের চালান আসে রোহনপুর সিঙ্গাবাদ (Last station in India) ট্রানজিট পয়েন্ট থেকে। এ প্রসঙ্গে জেনে নেওয়া দরকার যে, বাংলাদেশের প্রথম স্টেশনটির নাম হল রোহনপুর। স্টেশনটি দেখলে মনে হবে যেন আপনি কোন আদিম যুগে পৌঁছে গেছেন টাইম মেশিনের দ্বারা। সবকিছুই এখানে ব্রিটিশ আমলের, এমনকি সিগন্যাল, যোগাযোগ এবং স্টেশন সম্পর্কিত সরঞ্জাম। দেশের অন্যান্য স্টেশন উন্নত হয়ে গেলেও এখানে এখনো পাওয়া যায় কার্ড বোর্ডের টিকিট। এই স্টেশনে গেলে আপনার যা অভিজ্ঞতা হবে তা অন্য কোথাও গেলে হবে না।

Advertisements

সিঙ্গাবাদ স্টেশনে ব্যবহৃত সিগন্যালটি পর্যন্ত ব্রিটিশ আমলের। এমনকি সিগন্যালের জন্য এখানে ব্যবহৃত হয় হ্যান্ড গিয়ার। হাতেগোনা কয়েকজন কর্মচারী নিয়ে স্টেশনটির কাজ চলে এবং এখানে বোর্ডে ভারতের শেষ স্টেশন (Last station in India) কথাটি লেখা আছে। ভারত ও বাংলাদেশের সংযোগ এর মাধ্যম হলো এই স্টেশনটি। স্টেশন থেকে যেহেতু স্বাধীনতার আগে তৈরি করা হয়েছে তাই এই রাস্তা ব্যবহার করেছেন মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু প্রমুখ। এই রুটের ট্রেনগুলো দিয়ে কোনরকম যাত্রী সরবরাহ হয় না শুধুমাত্র ব্যবহার হয় পণ্যবাহী ট্রেন হিসেবে। সিঙ্গাবাদ স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে হেঁটে গেলেই অবস্থিত প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ। বাংলাদেশ পত্তনের পর এটি হলো ভারত বাংলাদেশের মালবাহী পণ্য সরবরাহের অন্যতম মাধ্যম।

২০১১ সালে চুক্তিটিকে আবার সংশোধন করা হয় এবং সংযুক্ত করা হয় নেপালকে। সিঙ্গাবাদ স্টেশন দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়া নেপালগামী পণ্যবাহী ট্রেনও যাতায়াত করে। যাত্রীবাহী কোন ট্রেন এই স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করে না। মালবাহী ট্রেনগুলো এখানে অপেক্ষা করে সিগন্যালের জন্য। এখানকার মানুষ আজও ট্রেন থামার জন্য অপেক্ষা করে থাকে।

Advertisements