নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় নাগরিকদের জন্য কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে চালু করা হয়েছে নতুন কর ব্যবস্থা (New Tax System)। নতুন কর ব্যবস্থা চালু করা হলেও পুরাতন কর ব্যবস্থা (Old Tax System) বাতিল করা হচ্ছে না। যে কারণেই ভারতীয় নাগরিকরা চাইলে নিজেদের পছন্দমত যেকোনো একটি কর ব্যবস্থা (Tax System) বেছে নিতে পারবেন।
নতুন কর ব্যবস্থা চালু হচ্ছে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষ থেকে। ১ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে রিটার্ন জমা। তবে এই দুই ব্যবস্থা চালু থাকার ফলে করদাতাদের মধ্যে নানান প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। সেই সকল প্রশ্নের মধ্যে অন্যতম হলো, কোথায় সবচেয়ে বেশি সুবিধা? কোন কর ব্যবস্থায় বেশি ছাড় পাওয়া যাবে ইত্যাদি?
রবিবার মধ্যরাতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়, নতুন কর ব্যবস্থা সম্পর্কে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ভুল তথ্য ঘোরাফেরা করছে। এর পাশাপাশি বলা হয়েছে, এটি এখন দেশের প্রধান কর ব্যবস্থা। যেখানে করের হার কম। এক্ষেত্রে নতুন এবং পুরাতনের মধ্যে যেটি সবচেয়ে বেশি লাভজনক মনে হবে সেটিই করদাতাদের বেছে নিতে হবে। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, যে সকল করদাতারা অডিট করাতে চান না এবং পুরাতন কর ব্যবস্থার মধ্যে থাকতে চান তাদের বাধ্যতামূলকভাবে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে কর জমা করে দিতে হবে। যদি তা না হয় তাহলে বাধ্যতামূলকভাবে নতুন কর ব্যবস্থার আওতায় চলে যেতে হবে।
নতুন কর ব্যবস্থায় সবচেয়ে সুবিধা হল করের হার কম। কিন্তু আবার কর ছাড়ের ক্ষেত্রেও কম সুবিধা পাওয়া যাবে। অর্থাৎ একদিকে যেমন সুবিধা ঠিক সেই রকমই অন্যদিকে সুবিধা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন কর ব্যবস্থায় চাকুরীজীবীরা ৫০০০০ টাকা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের পাশাপাশি ৮০ সিসিডি (২) আয়কর ধারা অনুযায়ী এনপিএস-এ বিনিয়োগ ও বেশ কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে কর ছাড় দেওয়া হবে। এছাড়াও পিএফ, গ্রাচুইটি ইত্যাদিতে ছাড় রয়েছে। ফ্যামিলি পেনশনে ১৫ হাজার টাকায় কর ছাড় রয়েছে। এসব মিলিয়ে সবকিছু ছাড় দিয়ে সাত লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোন কর দিতে হবে না।
আরও পড়ুন ? 11 New Rules: টাকা-পয়সা থেকে বিমা! এপ্রিলে ১১ নিয়মের বদল, প্রভাব ফেলবে আমজনতার পকেটে
নতুন কর ব্যবস্থায় কর ছাড়ের স্ল্যাব অনুযায়ী ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কোন কর দিতে হবে না করদাতাদের। ৩ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে ৫ শতাংশ কর। পরের স্ল্যাব অনুযায়ী ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে ১০ শতাংশ। পরের স্ল্যাব ১২ লক্ষ টাকা আয়ের উপর ইনকাম ট্যাক্স দিতে হবে ১৫ শতাংশ। পরের স্ল্যাব ১৫ লক্ষ টাকা রোজগার পর্যন্ত দিতে হবে ২০ শতাংশ এবং ১৫ লক্ষ টাকার উপরে রোজগারের ক্ষেত্রে ইনকাম ট্যাক্স হিসেবে দিতে হবে ৩০ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞদের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, যে সকল করদাতাদের আয়ের উৎস ব্যবসা বা এই ধরনের কোন পেশা তারা একবার নতুন কর ব্যবস্থায় যাওয়ার পর পুরাতন কর ব্যবস্থায় ফিরে আসতে পারবেন। অন্যদিকে যারা চাকুরীজীবী বা অন্য করদাতা তারা যতবার খুশি কর ব্যবস্থা বদলাতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোনটি বেশি লাভজনক তা আগে দেখে নিয়ে তারপরে বেছে নিতে হবে নতুন না পুরাতন কোন কর ব্যবস্থায় আপনি থাকবেন।