Gurdum-Manebhanjan : দার্জিলিংয়ে ভিড়ভাট্টা! চিন্তা কিসের, এখানে পাবেন পাহাড়ের নিস্তব্ধতা

Gurdum-Manebhanjan : পাহাড়ে যাওয়ার ইচ্ছা? বাঙালির কাছে পাহাড় মানেই তো প্রথম গন্তব্য দার্জিলিং। কিন্তু এই গরমে দার্জিলিং এর যে ঘিঞ্জি ছবি সোশ্যাল মিডিয়া ঘোরাফেরা করছে, তাতে সেখানে গিয়ে যে পাহাড়ের নিস্তব্ধতা উপভোগ করবেন, সেই উপায় নেই তাহলে কি পাহাড় যাওয়া হবে না? না! এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। দার্জিলিং এর কাছেই রয়েছে এমন কিছু জায়গা, যার নিস্তব্ধতা, সৌন্দর্য আপনাকে নিমেষে মুগ্ধ করে দিতে পারে। আজ তেমনই একটি জায়গার সন্ধান দেব আপনাদের।

আপনি শান্তি আর নিস্তব্ধতার খোঁজে দার্জিলিং ছাড়িয়ে উঠে যান আরও উপরের দিকে। যেখান থেকে আপনি সান্দাকফুর ঘ্রাণ উপভোগ করতে পারবেন। মূলত যারা ট্রেকিং করতে ভালোবাসেন, তাদের অন্যতম পছন্দের গন্তব্য। তবে গাড়ি নিয়েও পৌঁছানো যায় সান্দাকফুর কাছাকাছি। যেখানে আপনি একান্তে পাবেন আপনার প্রিয় পাহাড়কে। ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিতে পারবেন পাহাড়ের মোহময়ী রূপ দেখে। আজকের গন্তব্য গুরদুম।

প্রায় আট হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত গুরদুম গ্রাম। সীঙ্গালিল জাতীয় উদ্যানের মধ্যে অবস্থান এই সুন্দর পাহাড়ি গ্রামটির। যাকে ঘিরে রয়েছে রডোড্রেনড্রন আর পাইনের বন। শ্রীখোলা যাওয়ার পথে পরে এই পাহাড়ি গ্রাম। সান্দকফু থেকে ট্রেকিং করে ফেরার সময় অনেকেই এখানে রাত্রি বাস করেন। তবে শুধু রাত্রিবাস করলেই চলবে না। যদি এই গ্রামটি ঘুরে দেখেন, তাহলেই বুঝতে পারবেন আসল সৌন্দর্য। এখানে বসন্তে গেলে পাবেন অনন্য স্বাদ। তবে সারা বছর পাহাড়ি ফুল আর অর্কিড আপনাকে মুগ্ধ করবে। তাছাড়াও গুরদুমের সূর্যোদয় এক মনমুগ্ধকর দৃশ্য। পাখির ডাকে ঘুম ভাঙবে আপনার।

মানেভঞ্জন থেকে একটি রাস্তা চলে যায় চিত্রে, মেঘমার দিকে। আরেকটি রাস্তা যায় মাজুয়ার দিকে। গুরদুম যাওয়ার জন্য আপনাকে মাজুয়ার রাস্তা ধরতে হবে। মানেভঞ্জন থেকে গুরদুম মাত্র ১২ কিলোমিটারের পথ। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গুরদুম প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। আর যদি দার্জিলিং থেকে যান তাহলে এটি ৯৩ কিলমিটারের রাস্তা। সান্দাকফু ট্রেক করে অনেকেই গুরদুম আসেন। কিন্তু আপনি চাইলে সরাসরি মানেভঞ্জন থেকে গুরদুম পৌঁছে যেতে পারেন।

সূর্য ডুব দিলেই পাহাড়ে আর কোনও কিছু করার থাকে না। তাই যতক্ষণ সূর্যের আলো রয়েছে, ঘুরে দেখে নিন গোটা গ্রাম। মাত্র ১৫টি পরিবার মিলে গড়ে উঠেছে গ্রামটি। গ্রাম ঘোরা হয়ে গেলে এখানে যেতে পারেন মাজুয়া। পায়ে হেঁটে, ট্রেক করেও পৌঁছানো যায় মাজুয়া। এছাড়া গুরদুম থেকে ট্রেক করে নামতে পারেন চিত্রেতেও। গুরদুম থেকে বেশ কয়েকটি হোমস্টে রয়েছে। এছাড়া গুরদুমে থাকতে পারেন তাঁবুতে। এই অভিজ্ঞতাও অ্যাডভেঞ্চারের চাইতে কম কিছু নয়। গুরদুমে ব্যাকপ্যাকার্স রয়েছে, সেখানেই আপনি এই যাবতীয় সুবিধা পেয়ে যাবেন।