Loan Repayment Rules: ঋণ নেওয়ার পর ঋণগ্রহীতা মারা গেলে কাকে দিতে হবে EMI? না দিলে কি হবে?

Prosun Kanti Das

Published on:

Know about some Loan Repayment Rules: হঠাৎ করে অনেকগুলো টাকা একসাথে প্রয়োজন পড়লে সাধারণ মানুষ ব্যাংক বা ওই জাতীয় সংস্থার কাছ থেকে লোন নিয়ে থাকেন। প্রতি মাসে ইএমআই এর মাধ্যমে পরিশোধ করেন সেই লোন। লোন নেওয়া মানেই যে তা অনেক বড় অংকের অর্থের জন্যই নেওয়া হয় তা কিন্তু নয়। অনেক সময় সামান্য মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে জামা কাপড়, এমনকি খাবারের বিল পেমেন্ট করার জন্যও ইএমআই পদ্ধতিকে অবলম্বন করে থাকে অনেকে। এই পদ্ধতি অবলম্বনের প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। পছন্দের জিনিসটা কিনতে এখন আর ভাবতে হয় না কাউকে। অল্প কিছু ডাউন পেমেন্ট এবং প্রতিমাসে ইএমআই পরিষোধের মাধ্যমে কিনে ফেলা যায় যে কোন জিনিস। কিন্তু এই লোন পরিশোধের কিছু নিয়ম (Loan Repayment Rules) রয়েছে।

নিজের প্রয়োজনের খাতিরে লোন তো নিলেন। কিন্তু তা পরিশোধ করবেন কিভাবে? লোন পরিশোধ করার জন্য প্রতিটি সংস্থার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম (Loan Repayment Rules) থাকে। সেই নিয়ম মেনেই ঋণ পরিশোধ করতে হয় গ্রাহককে। সাধারণত হোম লোন, কার লোন এবং পার্সোনাল লোনের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি লোন নেওয়া হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে লোন নেবার আগে সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ভালো করে যাচাই করে নেওয়া আবশ্যক। দীর্ঘমেয়াদি লোনের ক্ষেত্রে প্রায়ই ১ টা সমস্যা দেখা দেয়। লোন নেবার পর তা পরিশোধ করার আগেই ঋণ গ্রহীতার মৃত্যু হতে পারে। সেক্ষেত্রে ইএমআই পরিশোধের দায়িত্ব কার?

সাধারণত মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর মধ্যে লোন নেবার প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। প্রয়োজনীয় অথচ মূল্যবান জিনিস কেনার সামর্থ্য না থাকায় লোন নিতে হয় তাদের। বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত পরিবারে ১ জন গৃহকর্তা থাকেন। তার উপরেই সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব থাকে। তাই পরিবারের প্রয়োজনে লোন নেবার দায়িত্বটাও এসে পড়ে তারই ওপর। বাড়ির সবচেয়ে বয়ো:জ্যেষ্ঠ ব্যক্তি এই গৃহকর্তার ভূমিকা পালন করে থাকেন। এবার কোন পরিবারের গৃহকর্তা যদি লোন নেবার পর দীর্ঘমেয়াদি সেই লোন পরিশোধ করার আগেই মারা যান তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তার পরিবারের উপর লোন পরিশোধের দায়িত্ব চলে আসে। কিন্তু আর্থিক অসহায়তা এইসব পরিস্থিতিতে বড় সমস্যার কারণ সৃষ্টি করতে পারে। তবে প্রতিটা লোন পরিশোধের নিয়ম কিন্তু এক নয়। বিভিন্ন লোনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নিয়ম প্রচলিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক লোন পরিশোধের বৈধ নিয়মগুলি (Loan Repayment Rules) কি কি?

আরও পড়ুন 👉 Confirmed Ticket: পুজোয় ঘুরতে যাওয়ার টিকিট সহজেই হবে কনফার্ম! বড় ব্যবস্থা নিল রেল

হোম লোন

বর্ধিত দ্রব্যমূল্যের বাজারে নিজের সঞ্চিত টাকায় বাড়ি তৈরি করা প্রায় অসম্ভব। তাই বাড়ি তৈরীর ক্ষেত্রে হোম লোন নেওয়া খুব স্বাভাবিক বিষয়। নিয়মানুযায়ী, হোম লোন নেবার সময় একপ্রকার বন্ধক রাখতে হয় সেই বাড়িটিকে। বাড়ির যাবতীয় কাগজপত্র সবকিছুই ব্যাংকের কাছে জমা রেখে তবেই লোন পাওয়া যায়। এই পরিস্থিতিতে যদি ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধ হবার আগেই মারা জান তাহলে লোন পরিশোধের নিয়মানুযায়ী (Loan Repayment Rules), সহ ঋণগ্রহীতা অথবা ওয়ারিশনের ভিত্তিতে ইএমআই পরিশোধের দায়িত্ব এসে পড়ে পরিবারের কোন সদস্যের উপরেই। যদি পরিবারে তেমন কোনো সদস্য না থেকে থাকেন তাহলে বাড়িটিকে বিক্রি করে লোন পরিশোধ করতে হয়। যদি পরিবারের পক্ষে সেটাও সম্ভব না হয় তাহলে ব্যাংক নিজেই বাড়িটিকে নিলামে তোলে এবং লোন পরিশোধ করে। এই পরিস্থিতি থেকে সুরাহা পাওয়ার জন্য নতুন ১ টি প্রকল্প নিয়ে এসেছে ব্যাংকগুলি। বর্তমানে হোম লোনের উপর ১ টি বীমা অফার করা হয়। ঋণগ্রহীতার মৃত্যুর পর এই বীমার মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করা যায়। ফলে পরিবারের বাকি সদস্যদের উপর কোনরকম চাপ সৃষ্টি হয় না।

গাড়ি ও ব্যক্তিগত লোন

গাড়ির লোন পরিশোধের নিয়মটা (Loan Repayment Rules) অনেকটা হোম লোনের মতনই। গাড়ির লোন শোধ না করতে পারলে ঋণগ্রহীতার বাড়ির লোকের ওপর দায়িত্ব থাকে সেই লোন শোধ করার। যদি পরিবারে তেমন কোন ব্যক্তি না থাকে তাহলে ব্যাংক সেই গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করতে পারে। তবে ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে কিন্তু এই সমস্ত কোন ঝামেলাই নেই। ব্যক্তিগত ঋণ এবং ক্রেডিট ঋণের ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতার মৃত্যুর সাথে সাথেই ঋণের বিষয়টিও সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়্। এক্ষেত্রে পরিবারের অন্য কোন সদস্যের কোন ভূমিকা থাকে না। ব্যাঙ্ক কারো কাছে লোন পরিশোধ করার আর্জি জানাতে পারেনা।