Know about the most dangerous highways in India: হাইওয়ে হল যে কোন দেশের উন্নতির নিদর্শন। হাইওয়ের মাধ্যমে একটি জায়গাকে অন্য জায়গার সাথে সংযুক্ত করা যায়। এমনকি আপনি বর্তমানে এক দেশ থেকে অন্য দেশেও যেতে পারবেন। শিরা-উপশিরার মত ছড়িয়ে থাকে সমগ্র বিশ্বে। আপনারা নিশ্চয়ই বিশ্বের বিপজ্জনক হাইওয়ের কথা শুনে থাকবেন, কিন্তু এদেশেও (Dangerous highway in India) এরকম প্রচুর বিপজ্জনক হাইওয়ে রয়েছে। এইসব রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাতে গেলে অবশ্যই আপনাকে দক্ষ ড্রাইভার হতে হবে। অনেকেই এইসব রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাতে সাহস পান না। বিপজ্জনক এইসব হাইওয়ে দিয়ে গাড়ি চালালে প্রাণের ঝুঁকিও কিন্তু অনেক বেশি থাকে। আবহাওয়া সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া দরকার এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালানোর আগে।
ভারত তার খারাপ রাস্তার জন্য ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়। যেমন লেহ-মানালি হাইওয়ে দেশের অন্যতম সুন্দর কিন্তু বিপজ্জনক হাইওয়ে। এই রাস্তাটি প্রায় ৪৯০ কিলোমিটার বিস্তৃত এবং হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের মধ্য দিয়ে গেছে। এছাড়াও ভারতের অন্যতম বিপজ্জনক হাইওয়ে (Dangerous highway in India) হলো চেন্নাই-থেনি হাইওয়ে (National Highway 45)। এই হাইওয়েটি প্রায় ৬৮টি গ্রামের কাছাকাছি এবং এতে কোনো ফুট ব্রিজ নেই। বাসিন্দাদের জন্য রাস্তাটি পারাপার করা খুব সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যেকোনো সময় এই হাইওয়েতে প্রাণ সংশয় হতে পারে।
তালিকায় পরবর্তী বিপজ্জনক রাস্তাটি (Dangerous highway in India) হল দিল্লি-কলকাতা হাইওয়ে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪৬৫ কিলোমিটারের বেশি। সবথেকে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে এই NH 2 হাইওয়েতে। এই ন্যাশনাল হাইওয়েটি ভারতের ব্যস্ততম রাস্তা। এটি দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে গেছে। আপনি যদি এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালান আপনি নিজেই ভয় পাবেন।
দিল্লি-মুম্বাই হাইওয়ে (National Highway 8)। কিন্তু ভারতের অন্যতম ভয়ংকর জাতীয় মহাসড়ক (Dangerous highway in India)। দেশের বিভিন্ন হাইওয়ের মধ্যে এই হাইওয়েটিতে দুর্ঘটনাও ঘটে প্রচুর পরিমাণে। সূত্রের মাধ্যমে জানা যায় যে এই হাইওয়েতে ১০০টিরও বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাই এই জাতীয় সড়ক দিয়ে গাড়ি চালানোর সময় অবশ্যই চালককে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
নংস্টোইন-সাব্রুম হাইওয়ে (National Highway 44)। এই জাতীয় মহাসড়কটির নাম আশা করি অনেকেই শুনেছেন। এটি ভারতের দক্ষিণ এবং উত্তর প্রান্তকে সংযুক্ত করতে সাহায্য করে। অবশ্য স্থানীয় মানুষরা দাবি করেছেন যে, এই রাস্তা দিয়ে পুরুষরা গেলে তারা দুর্ঘটনার শিকার হন। বিবিসির তার এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছিল যে, ৩৫টি পরিবারের গ্রামে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ৩৭ জন পুরুষের মৃত্যু হয়েছে এই জাতীয় মহাসড়কে।