নিজস্ব প্রতিবেদন : ১৯৪৯ সাল থেকে শুরু হওয়া অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে অবশেষে সোমবার উদ্বোধন হলো রাম মন্দিরের (Ram Mandir)। রাম মন্দিরের উদ্বোধন এবং রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে ঘিরে দেশ জুড়ে যেমন শুরু হয়েছে উৎসব, দেশের মানুষের কাছে রাম মন্দির যেমন হয়ে উঠেছে আবেগ, ঠিক সেই রকমই রাম মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে নানান কৌতুহল। সেই সকল কৌতূহলের মধ্যে অন্যতম একটি কৌতুহল হল টাইম ক্যাপসুল (Ram Mandir Time Capsule)।
অযোধ্যার রাম মন্দির তৈরি করার সময় যেখানে মূল মন্দির তৈরি করা হয়েছে তার ২০০০ ফুট মাটির নিচে পোঁতা হয়েছে এই টাইম ক্যাপসুল। টাইম ক্যাপসুল বিষয়টি অনেকের কাছেই যেমন অজানা, ঠিক সেই রকমই অযোধ্যার রাম মন্দিরের ২০০০ ফুট মাটির নিচে পোঁতা টাইম ক্যাপসুলে ঠিক কি রয়েছে তাও অধিকাংশ মানুষের কাছেই অজানা। আজ আমরা এই প্রতিবেদনে এই টাইম ক্যাপসুল এবং রাম মন্দিরের টাইম ক্যাপসুলে কি রয়েছে জানাবো।
টাইম ক্যাপসুল হল ইতিহাসকে ধরে রাখার একটি পদ্ধতি। আগেকার দিনেও এই পদ্ধতির প্রচলন ছিল। আগেকার দিনে বিভিন্ন বিষয় পুথি আকারে লিখে রাখার পর বোতলবন্দি করে রাখা হতো। টাইম ক্যাপসুলের ক্ষেত্রেও একই বিষয়। টাইম ক্যাপসুলের মাধ্যমে কোন কিছুর ইতিহাস থেকে শুরু করে সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। রাম মন্দিরের ক্ষেত্রেও একইভাবে টাইম ক্যাপসুলের ব্যবহার হয়েছে।
আরও পড়ুন ? Ram Mandir: শুধু উদ্বোধন নয়, ৭০ দিন ধরে চলবে অযোধ্যার রাম মন্দিরে উৎসব, খরচ কত জানুন
অযোধ্যার রাম মন্দির যেহেতু একটি বিতর্কিত জমি এবং আদালতের নির্দেশে এই বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির তৈরি হয় তাই এর জন্য টাইম ক্যাপসুল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তামার পাত দিয়ে তৈরি অনেকটা বোতলের মতো এই টাইম ক্যাপসুল তৈরি করা হয়েছে রাম মন্দিরের জন্য। যেখানে আদালতের রায় থেকে শুরু করে বিতর্কিত জমি সংক্রান্ত সমস্ত ইতিহাস ও নথি ক্যাপসুল বন্দী করে মাটির ২০০০ ফুট নিচে পাতা হয়েছে।
দলিল, আদালতের নির্দেশের নথি ইত্যাদি যেকোনো সময় নষ্ট হয়েই যেতে পারে। যে কারণে টাইম ক্যাপসুলটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে এবং সেটি মাটির এতটাই নিচে পোঁতা হয়েছে, যা সহজেই নষ্ট হবে না অথবা নষ্ট করা কঠিন। যদি আগামী দিনে আমাদের সমাজে বিভিন্ন পরিবর্তন আসে, যদি সভ্যতা বদলে যায়, তাহলেও যাতে রাম মন্দিরের নথি বিভিন্ন তথ্য কোনভাবেই হারিয়ে না যায় তার জন্যই এমন টাইম ক্যাপসুলের ব্যবহার। এই টাইম ক্যাপসুল এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে করে সেটি এক হাজার বছর পরেও অক্ষত থাকে। এই টাইম ক্যাপসুলই হাজার হাজার বছর পরে বলে দেবে রাম মন্দিরের ইতিহাস।