নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিদিনের রোজগারের পাশাপাশি অধিকাংশ মানুষ ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সঞ্চয় করার ক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষ ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট করে থাকেন। আবার অনেকে আছেন পোস্ট অফিসের উপর নির্ভর করেন। পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট খোলা হলে বেশ কিছু সুবিধা পেয়ে থাকেন গ্রাহকরা।
১) আয়কর আইনের ৮০টিএএ-র অধীনে সব ধরনের সঞ্চয়ে বার্ষিক ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত সুদে কর ছাড় পাওয়া যায়।
২) একক অথবা যৌথভাবে পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। প্রাপ্তবয়স্ক অথবা সর্বনিম্ন ১০ বছর বয়স হলেও সে তার অভিভাবকের সঙ্গে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে।
৩) পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্টে বার্ষিক চার শতাংশ সুদ পাওয়া যায়। প্রত্যেক মাসের দশম দিনের ভিত্তিতে সুদ দেওয়া হয়ে থাকে। ৫০০ টাকার নিচে ব্যালেন্স থাকলে সুদ পাওয়া যায় না।
৪) এই অ্যাকাউন্টগুলিতে ন্যূনতম ৫০০ টাকা ব্যালেন্স থাকতে হবে। প্রত্যেক আর্থিক বর্ষ শেষে যদি এই ব্যালান্স মেন্টন না করা হয় তাহলে ৫০ টাকা জরিমানা। ব্যালেন্স শূন্য হয়ে গেলে অ্যাকাউন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
৫) টানা তিনটি আর্থিক বর্ষ যদি কোনরকম লেনদেন না হয় তাহলে অ্যাকাউন্ট ডমিন্যান্ট অ্যাকাউন্ট হিসাবে গণ্য হয়। পুনরায় তা চালু করতে হলে গ্রাহককে কেওয়াইসি দিতে হয়।
৬) চেকবুক, এটিএম কার্ড, নেট ও মোবাইল ব্যাঙ্কিং, আধার পরিষেবা, অটল পেনশন যোজনা, প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনার মতো বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায় পোস্ট অফিসে থাকা অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। এছাড়াও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তুলনায় পোস্ট অফিসের অ্যাকাউন্টে সুদের পরিমাণ সব সময় বেশি।