নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মঙ্গলবার বিজেপির তরফ থেকে ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় অভিজিৎ দাস (BJP Candidate Abhijit Das) ওরফে ববির। অভিজিৎ দাস নামটি রাজ্যের বাসিন্দাদের কাছে খুব পরিচিত না হলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তিনি কিন্তু বেশ পরিচিত মুখ। কেননা এই ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকেই একাধিক বার তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
অভিজিৎ দাসের নাম বিজেপির তরফ থেকে ঘোষণা করার পর প্রথম যে প্রশ্ন ছিল তা হল, এর প্রতিক্রিয়ায় কি জানান তৃণমূল প্রার্থী তথা দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিক্রিয়ায় তিনি কেবল তিনটি শব্দ খরচ করেছেন আর সেই তিনটি শব্দ হলো ‘ভালো, ভালো, ভালো’। তিনি এই তিনটি শব্দ খরচের মধ্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিজিৎ দাস তার কাছে খুব বেশি গুরুত্বে নয়।
তবে বিজেপির তরফ থেকে অভিজিৎ দাসকে কখনোই দুর্বল প্রার্থী হিসেবে মনে করা হয়নি। কেননা বিজেপি নেতাদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গিয়েই অভিজিৎ দাসের পা ভেঙেছিল দুষ্কৃতিদের হামলায়। এরপরেও তিনি বুক চিতিয়ে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বরাবর লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন তিনি।
এবার আসা যাক অভিজিৎ দাসের পূর্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এর আগেও তিনি বিজেপির প্রার্থী হিসাবে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি প্রথমবার ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকেই বিজেপির টিকিটে লড়াই করেছিলেন ২০০৯ সালে। যেবার অবশ্য তিনি এই লোকসভা কেন্দ্রে সেই ভাবে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে পারেননি। কারণ সেই সময় সিপিআইএম এবং তৃণমূলের রমরমা বাজার চলছিল। ২০০৯ এর লোকসভা নির্বাচনে অভিজিৎ দাস পেয়েছিলেন মাত্র ৩.৬ শতাংশ ভোট। তার মোট প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ছিল ৩৭ হাজার ৫৪২। তিনি তিন নম্বরে থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষ করেছিলেন। অবশ্য সেই সময় এই কেন্দ্রে প্রার্থী ছিলেন না অভিষেক ব্যানার্জি।
আরও পড়ুন ? BJP vs TMC West Bengal: বাংলাতেও বিজেপির কাছে পাত্তা পাবে না তৃণমূল, ৪২ আসনের কে কোথায় জিততে পারে
২০০৯ সালের পর ২০১৪ সালে পুনরায় ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে অভিজিৎ দাসকেই প্রার্থী করেছিল বিজেপি। সেবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অভিষেক ব্যানার্জি ময়দানে নামলেও বিজেপির প্রার্থী অভিজিৎ দাস প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি করে ফেলেছিলেন। তিনি সেবারও তৃতীয় স্থানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষ করলেও মোট প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়ে ছিল ২ লক্ষ ৮৫৮।
তবে এরপর ২০১৯ সালে অভিজিৎ দাসকে আর টিকিট দেয়নি বিজেপি। ২০১৯ সালে অভিষেকের বিপক্ষে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নীলাঞ্জন রায় পেয়েছিলেন মোট ৪ লক্ষ ৭০ হাজার ৫৩৩ ভোট। ২০১৯ এর ৫ বছর কেটে যাওয়ার পর ২০২৪ এ আবার মুখোমুখি হতে চলেছেন অভিজিৎ এবং অভিষেক। এখন দেখার বিষয় আগের তুলনায় কে কতটা ভালো ফলাফল করেন।