Know detailed information about ISRO’s Chandrayaan-3: অপেক্ষার দিন প্রায় শেষের পথে, এবার শুধু কাউন্টডাউন করার পালা। ভারতের দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় ১৪ জুলাই ফের চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেবে চন্দ্রযান-৩। আরো একবার সুযোগ এসেছে বিশ্ব ইতিহাসে নিজের নাম প্রতিষ্ঠিত করার। পৃথিবীর তিনটি দেশের চন্দ্রযান এর আগে চাঁদের মাটিতে পা রাখতে সফল হয়েছিল। ভারতের নামও সেই তালিকায় যুক্ত হতে পারে আর তার জন্য একমাত্র ভরসা হলো চন্দ্রযান-৩। নিজের দেশের এই সাফল্য দেখার জন্য অপেক্ষা করে আছে গোটা ভারতবাসী। তবে মহাকাশযানটিকে এলভিএম-৩ (Details about LVM-3) রকেটের সাহায্যে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে।
চন্দ্রযান ৩-কে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করানো হবে এলভিএম-৩ রকেটের সাহায্যে। চন্দ্রযানটিকে চাঁদের কক্ষপথের ১০০ কিমির মধ্যে পৌঁছে দেবে এই লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩। লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩ (Details about LVM-3) রকেটের সঙ্গে বুধবার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে সংযুক্ত করা হয়েছে চন্দ্রযান ৩-কে। চন্দ্রযান-৩-এ আছে একটি ল্যান্ডার, রোভার ও প্রোপালশান মডিউল। ভারতের এই দ্বিতীয় চেষ্টায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে মহাকাশের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-৩।
ইসরোর এই মহাকাশযানটি গঠিত হয়েছে একটি ল্যান্ডার, রোভার, প্রোপালশান মডিউল নিয়ে। লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩(Details about LVM-3) একাকী মহাকাশে পাড়ি দিতে পারে না। ফলে অন্য স্যাটেলাইটের মতো LVM3-এর মতো ভারী রকেটের সঙ্গে চন্দ্রযান-৩-কে যুক্ত করা হয়েছে। এতে আছে শক্তিশালী প্রোপালশান সিস্টেম, যা পৃথিবীর মহাকর্ষীয় টানকে অতিক্রম করতে সাহায্য করে। এই শক্তির মাধ্যমেই মহাকর্ষীয় বাধা পেরিয়ে মহাশূন্যে ছিটকে যায় স্যাটেলাইটটি।
লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩ (Details about LVM-3) ভারতের সবথেকে ভারী ও উন্নতশীল রকেট। যার ওজন হলো ৬৪০ টন এবং এর দৈর্ঘ্য ৪৩.৫ মিটার (প্রায় ১৪৩ ফুট), প্রস্থ ৪ মিটার (১৩.১২ ফুট), ৫ মিটার ব্যাসের (১৬ ফুট) পেলোড ফেয়ারিং, এটি রকেটকে বায়ুগত শক্তি থেকে রক্ষা করার জন্য নাক-আকৃতির সরঞ্জাম। এই লঞ্চ যানটি পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নিম্ন পৃথিবীর কক্ষপথে ৮ টন পর্যন্ত পেলোড বহন করতে পারে। আবার যখন প্রশ্ন আসে জিওস্টেশনারি ট্রান্সফার অরবিটস এর যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৫ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত কিংবা তারও বেশি দূরে অবস্থিত, সেই সময় এটি অনেক কম অর্থাৎ মাত্র চার টন পেলোড বহন করতে পারে।
জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩ (GSLV Mark 3) নাম পরিবর্তন করে 2022 সালের অক্টোবরে নতুন নাম রাখা হয় লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩ (LVM3)। এটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে ২০১৪ সালে। LVM3-কে গত চন্দ্রযান-২ অভিযানেও ব্যবহার করা হয়েছিল। ভারতের সবথেকে বৃহত্তম এবং উন্নত প্রযুক্তির রকেট LVM3 এর আগে OneWeb-এর ৩৬টি স্যাটেলাইট নিয়ে সফল উৎক্ষেপণ করেছিল। রকেটের ওজন হলো ৫ হাজার ৮০৫ কেজি যা ৩৬টি জেন ওয়ান স্যাটেলাইট নিয়ে উৎক্ষেপণ করেছিল।