নিজস্ব প্রতিবেদন : জিনিসপত্রের দাম নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তানের বাসিন্দাদের নাভিশ্বাস অবস্থা। কখনো টমেটো, তো আবার কখনো পেঁয়াজ, আবার কখনো দুধ সহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম পাকিস্তানে হু হু করে বেড়ে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে যখন পাকিস্তানের বাসিন্দারা সুরাহার জন্য হন্তদন্ত হয়ে ঘুরছেন তখনও কিন্তু কোন সুরাহা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর এদিকে ভারতীয় মুদ্রার সঙ্গে পাকিস্তানের মুদ্রার পার্থক্য (INR vs PKR) যেন বেড়েই চলেছে।
সম্প্রতি পাকিস্তানের একটি অনলাইন পোর্টালে করা খবর থেকে জানা গিয়েছে, সেখানে এক কিলো মটন বিক্রি হচ্ছে পাকিস্তানি মুদ্রায় ২৯১০ টাকায়। যেখানে ভারতে এক কিলো মটন বিক্রি হচ্ছে বড়জোর ৮০০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে। উৎসব অনুযায়ী কোন কোন সময় দামের ক্ষেত্রে ফের ফের হতে দেখা যায়। কিন্তু তাই বলে কখনোই দাম একেবারে লম্বা লম্বা ঝাঁপ দেয় না।
পাকিস্তানে জিনিসপত্রের দামের ক্ষেত্রে এমন পার্থক্য দেখে অনেকের মধ্যেই আবার প্রশ্ন জাগে, ভারতের মুদ্রার সঙ্গে পাকিস্তানের মুদ্রার মূল্যের ফারাক কতটা? এই ফারাকের কথা বলতে গেলে বলা যায়, ভারতীয় মুদ্রার থেকে পাকিস্তানের মুদ্রার মূল্য অনেক কম। এমনকি জানলে অবাক হবেন, বাংলাদেশের মুদ্রার থেকেও পাকিস্তানের মুদ্রার মূল্য অনেকটাই কম। যে কারণে যদি আপনার কাছে ভারতীয় মুদ্রায় এক হাজার টাকা থাকে তাহলে পাকিস্তানে গিয়ে নিজেকে মনে মনে রাজা ভাববেন।
আরও পড়ুন ? India Gold and Forex Reserve: লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লো সোনা, বাড়লো বিদেশি মুদ্রা! নতুন অধ্যায় ভারতের
যদি কোন ভারতীয় নাগরিক এক হাজার টাকা নিয়ে পাকিস্তানে যান তাহলে তিনি সেখানে পাকিস্তানি মুদ্রায় পাবেন ৩৩৩৩.৪৫ পিকেআর। হিসেব অনুযায়ী ভারতীয় মুদ্রার থেকে তিনগুণেরও বেশি কম মূল্য রয়েছে পাকিস্তানের মুদ্রার। এক্ষেত্রে যদি কোন ব্যক্তি এক লক্ষ টাকা নিয়ে পাকিস্তানে যান তাহলে তিনি পাকিস্তানে এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে পাবেন ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩৪৫ পাকিস্তানি মুদ্রা।
শুধু ভারতীয় মুদ্রা পাকিস্তানের মুদ্রার থেকে শক্তিশালী তা নয়, ভারত থেকে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান থেকে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশের মুদ্রাও পাকিস্তানের মুদ্রার থেকে শক্তিশালী। বাংলাদেশের কোন ব্যক্তি যদি এক লক্ষ টাকা নিয়ে পাকিস্তানে যান তাহলে তিনি পাকিস্তানি মুদ্রায় পাবেন ২ লক্ষ ৩৬ হাজার ৯৭৮ পাকিস্তানি মুদ্রা। হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশের মুদ্রা পাকিস্তানি মুদ্রার থেকে দু’গুণেরও বেশি শক্তিশালী। পাকিস্তান দিন দিন এমন এক দেশে পরিণত হচ্ছে যারা বারবার আর্থিক পরিস্থিতির সামাল দিতে চাইলেও ঠোকর খেয়ে পড়ছেন।