নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন কয়েক ধরেই উত্তর ২৪ পরগনার বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়কে (Tapas Roy) নিয়ে নানান জল্পনা তৈরি হয়েছিল। সেই জল্পনার একটি পার্টের সমাপ্তি ঘটলো সোমবার। সোমবার তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তাফা দেওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের সঙ্গে ২৩ বছরের সম্পর্ক ত্যাগ করলেন। তবে এরপরে আরও একটি জল্পনা জিইয়ে রইল, আর সেই জল্পনা হলো তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।
অনেকেই মনে করছেন তিনি তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ এবং বিধায়ক পদ থেকে ইস্তাফা দেওয়ার পর বিজেপিতে যোগ দেবেন। বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হবেন। যদিও এসব সবই এখন জল্পনা, কেননা এসব নিয়ে তিনি এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি বা ভবিষ্যতের রূপরেখা সম্পর্কে কিছু জানান নি। আর এসব প্রসঙ্গেই সাধারণ মানুষদের কৌতূহল, এর আগে কোন কোন দলে তিনি (Tapas Roy’s Political Journey) ছিলেন আর কতবার বিধায়ক হয়েছিলেন?
তাপস রায় একজন উচ্চশিক্ষিত রাজনীতিক। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট পল কলেজ থেকে ১৯৮২ সালে বিএসসি পাশ করেন। এরপর আবার তিনি আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন এবং সুরেন্দ্রনাথ ল কলেজ থেকে ১৯৮৬ সালে আইনে স্নাতক হন। পড়াশুনায় একজন ভালো ছাত্র হওয়ার পাশাপাশি ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রথমদিকে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং উত্তর কলকাতার কংগ্রেস নেতা সৌমেন মিত্রের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
তিনি প্রথম জনপ্রতিনিধি হয়েছিলেন একজন কাউন্সিলর হিসাবে। পরবর্তীতে কাউন্সিলর থেকে তিনি বিধায়ক হন। তিনি প্রথমবার বিধায়ক হয়েছিলেন কংগ্রেসের টিকিটে ১৯৯৬ সালে। সেবার তিনি বিধায়ক হন বিদ্যাসাগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। তবে ২০০১ সালে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন এবং তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তিনি করেছিলেন বড়বাজার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। সেবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও তিনি জয়লাভ করেছিলেন এবং বিধায়ক হয়েছিলেন।
তবে এরপর ২০০৬ সালে তৃণমূল তাকে টিকিট দেয় বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রের। কিন্তু সেবার তিনি জয়লাভ করতে পারেননি। পরবর্তীতে ২০১১ সালে তিনি বরানগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটেই জয়লাভ করেন। আর এখান থেকেই পরবর্তী দুই বিধানসভা নির্বাচন অর্থাৎ ২০১৬ এবং ২০২১ সালেও জয়লাভ করেন ও বিধায়ক হন। হিসেব অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত তাপস রায় পাঁচ বার বিধায়ক হয়েছিলেন। আবার খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও মন্ত্রী হয়েছিলেন।