নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ইডির হাতে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পাশাপাশি অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে কয়েক কোটি টাকার সোনা ও অন্যান্য বহু মূল্যবান জিনিসপত্র।
এছাড়াও সম্প্রতির দেশের বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বাড়িতে হানা দিয়ে ইডি এই ধরনের মজুত টাকা এবং গয়না উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এই ঘটনার পর বহু মানুষের মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে, বাড়িতে নিশ্চিন্তে নগদ কত টাকা রাখা যায় এবং কত টাকা পর্যন্ত সোনা রাখা যেতে পারে। যাতে করে অন্ততপক্ষে রাতে নিশ্চিন্তে ঘুম হয়।
টাকার কথা বলতে গেলে বলা যায়, যদি টাকার উৎস ঠিক থাকে তাহলে বাড়িতে নগদ টাকা রাখা যেতেই পারে। টাকার উৎস এবং সমস্ত রকম হিসাব নিকাশ যদি ঠিক থাকে তাহলে বিপুল পরিমাণ অর্থ বাড়িতে নগদ রাখা যায়। কিন্তু যদি এই সকল হিসেব-নিকেশ এবং উৎস সম্পর্কে কোনো রকম সংশয় দেখা দেয় তাহলে বিপাকে পড়তে হবে এবং ১৩৭ শতাংশ জরিমানা গুণতে হবে। এর পাশাপাশি ইডি আধিকারিকদের একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে।
সোনার ক্ষেত্রে আয়কর বিভাগের যে নিয়ম রয়েছে তাতে বাড়িতে সর্বোচ্চ ৫০০ গ্রাম সোনা রাখা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রেও রয়েছে আলাদা আলাদা নিয়ম। আলাদা আলাদা এই নিয়ম রয়েছে বিবাহিত এবং অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে। এছাড়াও নিয়ম আলাদা রয়েছে পুরুষ ও মহিলাদের ক্ষেত্রে।
বিবাহিত মহিলারা বাড়িতে সর্বোচ্চ ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত সোনা এবং সোনার গয়না মজুত রাখতে পারবেন। অবিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে মজুত রাখা সোনার এই পরিমাণ ২৫০ গ্রাম এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে সোনা মজুত রাখার সর্বোচ্চ পরিমাণ ১০০ গ্রাম। এই নিয়মের বাইরে বাড়িতে সোনা পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্ত করা হয়। তবে অনেক বাড়িতেই নিয়ম রয়েছে, পূর্বপুরুষদের থেকে পাওয়া সোনা মজুত রাখা। এই ধরনের কোন রীতিনীতি থাকলে অবশ্যই সেই পরিবারকে আয়কর বিভাগের অনুমতি নিতে হবে।