নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেলের (Indian Railways) ইতিহাসে শনিবার নতুন দিগন্তের সূচনা। এদিন ভারতের রেলপথে নতুন ট্রেন হিসাবে পথচলা শুরু করল অমৃত ভারত এক্সপ্রেস (Amrit Bharat Express)। যে ট্রেনটি প্রথম দিকে বন্দে সাধারণ ট্রেন নামে পরিচিতি লাভ করেছিল, যদিও পরবর্তীতে এর নাম দেওয়া হয় অমৃত ভারত। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের মতোই অমৃত ভারত ট্রেন নিয়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই।
জানা যাচ্ছে, অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি দেশীয় প্রযুক্তিতেই তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি এই ট্রেনে সাধারণ যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ থেকে শুরু করে ভাড়া সবকিছুর দিকেই নজর রাখা হয়েছে। যাতে করে এই ট্রেনে যাতায়াত করার সময় যাত্রীরা অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ পান তার জন্য পুশ-পুল পদ্ধতির ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও ট্রেনের বার্থ থেকে শুরু করে টয়লেট, নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর অনেক বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ট্রেনটিতে পুশ-পুল প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে অনেক কম সময়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হবে। এই পদ্ধতিতে ট্রেনের সামনে এবং পিছনে দুটি ইঞ্জিন থাকে। যার ফলে ট্রেন অনেক বেশি গতি পায় এবং ট্রেনের ঝাঁকুনি অনেক কম হয়। এই প্রযুক্তিতে খুব কম ট্রেন চালানো হয়ে থাকে। তবে এই ট্রেনের টিকিটের ভাড়া কিন্তু অন্যান্য সাধারণ এক্সপ্রেস ট্রেনের তুলনায় বেশি, আবার প্রিমিয়াম এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তুলনায় অনেক কম।
আরও পড়ুন ? Amrit Bharat Express Fare: মাত্র ৩৫ টাকায় টিকিট, দেখে নিন অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের দাম
অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া সম্পর্কিত যে চার্ট সামনে এসেছে তা থেকে জানা যাচ্ছে, সাধারণ এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির ভাড়ার তুলনায় অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ বেশি রাখা হয়েছে। ১ কিলোমিটার থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত সফরের জন্য রিজার্ভেশন ফি সহ অন্যান্য চার্জ বাবদ সেকেন্ড সিটিং টিকিটের দাম রাখা হয়েছে ৩৫ টাকা। এক্ষেত্রে অন্যান্য মেইল অথবা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া ৩০ টাকা হয়ে থাকে।
দূরপাল্লার ক্ষেত্রেও ভাড়া কিছুটা হলেও বেশি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্ততপক্ষে এই ট্রেনের যে ভাড়ার চার্ট সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পাওয়া যায় তা থেকে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও রেলমন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কনসেশনাল টিকিট এবং ফ্রি কমপ্লিমেন্টারি পাস ইত্যাদির মাধ্যমে যেসব টিকিট পাওয়া যায়, সেই সকল টিকিটে অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রা করা যাবে না। যদিও রেল কর্মীদের প্রিভিলেজ পাস, পিটিও, ডিউটি পাস ইত্যাদি, সাংসদদের পাস, বিধায়কদের রেল ট্র্যাভেল কুপন, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ট্র্যাভেল কুপন এই ট্রেনে ব্যবহার করা যাবে। যদিও এখনো পর্যন্ত অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট বিক্রি অফিশিয়ালি শুরু হয়নি। অফিসিয়ালি টিকিট বিক্রি শুরু হলে কতটা পার্থক্য দাঁড়াচ্ছে তা খুব ভালোভাবে বোঝা যাবে।