বাংলাএক্সপি ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের যে সকল সরকারি প্রকল্প রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম প্রকল্প হল লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar)। যে প্রকল্প রাজ্যের মহিলাদের এক সময় ৫০০ ও ১০০০ টাকা করে দিত, এখন সেই টাকার অঙ্ক বেড়ে হয়েছে ১০০০ ও ১২০০ টাকা। প্রতি মাসে মাসে মহিলাদের জন্য সরকারের তরফ থেকে এমন টাকা বরাদ্দ করার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রকল্পের বিকল্প প্রকল্প এখন রাজ্যে নেই বললেই চলে।
তবে সাম্প্রতিককালে আরজি করে ঘটে যাওয়া মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনার পর রীতিমতো লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। চারদিকে রব উঠছে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা না দিয়ে রাজ্যের মহিলাদের নিরাপত্তা দিক রাজ্য সরকার। এমনকি বহু ক্ষেত্রেই আরজি কর কাণ্ডের ঘটনার পর রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানিয়ে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভাবছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু মহিলা রয়েছেন যারা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পকে নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পাশাপাশি টাকা না নেওয়ার মতো কথাও বলছেন। আর এই বিষয়টি নিয়ে খোদ তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষও মুখ খুলেছেন। তিনি সরকারের কাছে আবেদন রেখেছেন যাতে করে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প ত্যাগ করার জন্য আলাদা করে একটি ফর্ম বের করা হয়। তবে জেনে রাখা দরকার, কেউ যদি লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা নিতে না চান তাহলে তার উপায় আগে থেকেই রয়েছে।
আরও পড়ুন : Pension Scheme: পেনশন স্কিমে UPS না NPS কোনটি বেশি লাভজনক সরকারি কর্মীদের
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেতে যেমন দুয়ারে সরকার থেকে শুরু করে বিডিও অফিস, এসডিও অফিস, কলকাতা পৌরসভার বোরো অফিসে গিয়ে ফর্ম ফিলাপ করতে হয় এবং প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভূক্ত করার জন্য আবেদন জানাতে হয়, ঠিক সেই রকমই এই প্রকল্পের সুবিধা কেউ নিতে না চাইলে এসডিও অফিসে গিয়ে জানাতে পারেন। এক্ষেত্রেও আবেদন করার মতোই বিভিন্ন নথি জমা দিতে হয় এবং প্রকল্প থেকে নাম বাদ দেওয়ার ঘোষণা করতে হয়। নাম প্রকাশ না করলেও এমনটাই জানা গিয়েছে এক সরকারি আধিকারিকের থেকে।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে যখন চারদিকে আলোচনা শুরু হয়েছে, সেই সময়ে আবার জল্পনা শুরু হয়েছে এই প্রকল্পের টাকা বৃদ্ধি নিয়েও। বিভিন্ন জায়গায় দাবি করা হচ্ছে এই প্রকল্পের টাকা রাজ্য সরকার ফের একবার বৃদ্ধি করতে পারে এবং তা খুব তাড়াতাড়ি। যদিও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।