নিজস্ব প্রতিবেদন : গত বছর রাখি পূর্ণিমার দিন সিবিআই আধিকারিকরা বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) গরু পাচার কাণ্ডে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর সম্প্রতি দিল্লি যাত্রা নিয়ে টালবাহানা চলার পর কাকতালীয়ভাবে দোল পূর্ণিমায় হয় অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা। তবে অনুব্রতর দিল্লি যাত্রার সময়েও একটি বিতর্ক থেকে গেল।
আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগার থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে মঙ্গলবার কলকাতা আনার সময় তার কনভয় থামে শক্তিগড়ে। ঠিক সকাল পৌনে নটা নাগাদ শক্তিগড়ের টিফিন করার জন্য অনুব্রত মণ্ডলকে শক্তিগড়ের একটি দোকানে নামান তাকে কলকাতা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে থাকা রাজ্য পুলিশ। সেখানে অনুব্রত মণ্ডল কচুরি, ল্যাংচা, মিষ্টি ইত্যাদি খান।
দূর রাস্তা পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে খিদে লাগবে এবং মাঝে টিফিন করতে হবে তা নিয়ে কোন দ্বিমত নেই। এমনকি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে থাকা পুলিশ কর্মীরাও সেখানে টিফিন সেরে ফেলেন। কিন্তু এরই মধ্যে দেখা যায় তিন জন ব্যক্তিকে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে এক টেবিলে বসে খাওয়া দাওয়া করতে। খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ ধরে ওই তিন যুবকের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় অনুব্রত মণ্ডলকে।
এই তিনজনের মধ্যে একজনকে দেখা যায় সবুজ পাঞ্জাবি পরে। তিনি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করার পাশাপাশি তার কানে কানে কি যেন বলছিলেন। সামনে বসে থাকা দুজনের সঙ্গেও কথা হচ্ছিল অনুব্রত মন্ডলের। এরপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে এই তিনজন ব্যক্তি কে?
ওই তিনজনের পরিচয় সম্পর্কে জানা গিয়েছে, সবুজ পাঞ্জাবি পরিহিত যুবকের নাম তুফান মিদ্দা। তিনি হলেন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মন্ডলের গাড়ির চালক। আরেকজনের নাম হলো কৃপাময় ঘোষ। তিনি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তবে তৃতীয় ব্যক্তি কে ছিলেন সেই পরিচয় এখনও পর্যন্ত সঠিকভাবে জানা যায়নি। শক্তিগড়ে ওই খাওয়ার দোকানে মোট বিল হয়েছিল ৯৯৫ টাকা এবং সেই বিল মিটিয়েছিলেন তুফান মিদ্দা।