নিজস্ব প্রতিবেদন : চন্দ্রযান-২ শেষ মুহূর্তে গিয়ে ব্যর্থ হলেও সেই ব্যর্থতাকে এখন দূরে সরিয়ে ফেলেছে ইসরো (Isro)। সেই ব্যর্থতাকে দূরে সরিয়ে এখন চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) উৎক্ষেপণের অপেক্ষা। ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ১৪ তারিখ চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করা হবে। প্রথমদিকে এর উৎক্ষেপণের দিন হিসাবে ১৩ জুলাই ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তা একদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়।
চন্দ্রযান-২ এর মতই চন্দ্রযান-৩ তে থাকবে একটি ল্যান্ডার এবং একটি রোভার। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগারের প্রাথমিক লক্ষ্য রয়েছে এই দুটিকে প্রথমেই চাঁদের দক্ষিণ প্রান্তে স্থাপন করা। ইতিমধ্যেই চন্দ্রযান-৩ কে জুড়ে দেওয়া হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্রে লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩ র সঙ্গে। ল্যান্ডার এবং রোভার ছাড়াও থাকছে একটি প্রোপালাশন মডিউল।
চন্দ্রযান-৩ মোট ওজন ৩৯০০ কিলোগ্রাম। প্রোপালাশন-এর ওজন ২১৪৮ কিলোগ্রাম। প্রোপালাশন-এর মূল লক্ষ্য হলো চাঁদের কক্ষপথের ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ল্যান্ডার এবং রোভারকে পৌঁছে দেওয়া। এরপর রোভারকে চাঁদের মাটিতে নামানোর কাজ করবে ল্যান্ডার। ফর্মারের ভিতর যে রোভারটি রয়েছে তার ওজন ১৭৫২ কিলোগ্রাম। এটি বাদ দিয়ে রোভারের ওজন ২৬ কেজি।
চন্দ্রযান-২ এর ক্ষেত্রে যে রোভার ব্যবহার করা হয়েছিল তার নাম দেওয়া হয়েছিল বিক্রম। চন্দ্রযান-৩ এর ক্ষেত্রেও যে রোভার ব্যবহার করা হচ্ছে তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য একই রকম বলেই জানা গিয়েছে। তবে এবার যাতে যেকোন রকম দুর্ঘটনা এড়িয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে নির্বিঘ্নে রোভারটি ল্যান্ডিং করতে পারে তার জন্য প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে অনেক বদল আনা হয়েছে। এছাড়াও নতুন প্রযুক্তি অনুযায়ী প্রোপালশান মডিউলটি ৭৫৮ ওয়াট, ল্যান্ডার মডিউলটি ৭৩৮ ওয়াট এবং রোভারটি ৫০ ওয়াট শক্তি উৎপাদন করবে।
চন্দ্রযান-৩ এর লক্ষ্য হিসাবে ইসরোর ওয়েবসাইটে যা দেওয়া হয়েছে তা থেকে জানা যাচ্ছে, প্রথম লক্ষ্য হলো নির্বিঘ্নে চাঁদের অন্ধকার পৃষ্ঠে পালকের মতো রোভারকে ল্যান্ডিং করানো। এরপরই এই রোভারের মাধ্যমে চাঁদ নিয়ে গবেষণার নতুন অধ্যায় শুরু করতে চাইছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগার। উন্নত প্রযুক্তির মধ্য দিয়ে অনেক অজানা তথ্য সংগ্রহ করবেন ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।