পুলিশ কনস্টেবলের ব্যাটা থেকে ডন! দেশ-বিদেশে টাকা আর টাকা, কত সম্পত্তির মালিক দাউদ

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত সোমবার থেকেই আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমকে (Dawood Ibrahim) নিয়ে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংবাদ মাধ্যম। মূলত তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই সরগরম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে তিনি জীবিত নাকি মৃত তা এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। অন্যদিকে দাউদকে নিয়ে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে উত্তরসূরী থেকে শুরু করে তার সম্পত্তি নিয়ে শুরু হয়েছে সাধারণ মানুষদের মধ্যে কৌতূহল।

Advertisements

দাউদ ইব্রাহিম মুম্বাইয়ের ডংরি বস্তি থেকে হয়ে উঠেছিলেন ডন। ১৯৫৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ের রত্নগিরিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। যিশুখ্রিস্টের জন্ম তারিখের পরদিন জন্মগ্রহণ করার কারণে তাকে নিয়ে অনেক আশা ছিল পরিবারের সদস্যদের। তবে যা আশা করা হয়েছিল ঠিক তার উল্টোটা হতে দেখা গিয়েছিল দাউদকে। পুলিশ কনস্টেবলের ব্যাটা হয়েও ছোট থেকেই চুরি, তোলাবাজি সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে হাত পাকিয়ে ছিলেন তিনি।

Advertisements

একেবারে বস্তি এলাকা থেকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে দাউদ নিজের জাল ছড়িয়ে দেন আন্তর্জাতিক স্তরে। নিজে তৈরি করেন ‘ডি কোম্পানি’। মুম্বাইয়ে এই কোম্পানি তৈরি হলেও অল্প সময়ের মধ্যেই পাকিস্তান, দুবাই সহ প্রায় ৫০টি দেশে এর নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই কালো ব্যবসার মাধ্যমে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কোটি কোটি টাকা আসতে শুরু করে দাউদের ঝুলিতে। স্বাভাবিকভাবেই দাউদের টাকার অভাব আর নেই।

Advertisements

আরও পড়ুন ? অটো চালক থেকে কমেডিয়ান, রাজু শ্রীবাস্তবের এই ৮ কথা অনেকেই জানেন না

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে দাউদ পতিতাবৃত্তি, জুয়ো এবং মাদকের ব্যবসা থেকে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে ছিলেন। তবে এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। এরপর তিনি নজর রাখেন রিয়েল এসেস্টের দিকে। এই ব্যবসা থেকেও তিনি কোটি কোটি টাকা রোজগার করেছেন। তিনি তার এমন ব্যবসার জাল মুম্বাইয়ে একচেটিয়া রাখার পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন জায়গা, পাকিস্তান সৌদি আরব, এমন কি ব্রিটেনেও ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায় দাউদের বড় বড় ফ্ল্যাট, হোটেল, রেস্তোরাঁ রয়েছে। দাউদের শখ নামিদামি গাড়িতে চড়া, যে কারণে তার গ্যারেজে রয়েছে বিলাসবহুল সব গাড়ির সমাহার।

এমন একজন আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনের সম্পত্তির পরিমাণ ঠিক কত তা আন্দাজ করা সত্যিই মুশকিল। তবে ২০১৫ সালে ফোর্বসের তরফে দাবী করা হয়েছিল, তার কাছে রয়েছে ৬৭০ কোটি ডলার, যা সেই সময় ভারতীয় মুদ্রায় ছিল প্রায় ৫৫ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। অন্যদিকে ভারত সরকারের তরফ থেকে দাউদ ইব্রাহিমের বেশ কিছু সম্পত্তি নিলাম করে রীতিমুক্ত হতবাক করে দিয়েছে ডনকে। ২০১৭, ২০২০ সালে কয়েক কোটি টাকার দাউদের সম্পত্তি ভারত সরকার নিলাম করে দেয়।

Advertisements