নিজস্ব প্রতিবেদন : যেখানে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সময়ের অনেক আগেই বর্ষার (Monsoon) আগমন হয়ে গিয়েছে সেই জায়গায় দক্ষিণবঙ্গে কিন্তু যেমনটা ভাবা হচ্ছিল তার উল্টো হতে চলেছে। চলতি বছর মে মাসের শেষের দিকেই কেরল ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে বর্ষার আগমন হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে ৩১ মে বর্ষা এসে গিয়েছে। কিন্তু খারাপ অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal)।
দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে এখন তীব্র গরমের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় চলছে তাপপ্রবাহ, তীব্র তাপপ্রবাহ। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেকের মধ্যেই প্রশ্ন কবে দক্ষিণবঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর আগমন (South Bengal Monsoon Arrival) ঘটবে? তবে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে আবহাওয়া নিয়ে যে খবর দেওয়া হয়েছে তাতে রীতিমতো হতাশ হতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে বর্ষার আগমন নিয়ে লেটেস্ট যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের থেকে প্রায় দেড় সপ্তাহ লেট হবে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার প্রবেশ করতে। এই বিষয়ে আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, ‘২১ জুন থেকে যে সপ্তাহ শুরু হবে সেই সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসবে।’ বর্ষার আগমনের নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও তিনি মৌসম ভবনের মাসিক যে আবহাওয়ার রিপোর্ট দেওয়া হয় সেই রিপোর্ট থেকেই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এমনটা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন ? North Bengal Special Train: সহজেই হবে দার্জিলিং, সিকিম ট্যুর! স্পেশাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়ালো রেল
অন্যদিকে বর্ষার আগমন নিয়ে এতটা লেট হওয়ার বিষয়ে পূর্বাভাস দেওয়ার পাশাপাশি তিনি অবশ্য জানিয়েছেন, ২১ জুনের পরের সপ্তাহে স্বাভাবিকের থেকে বৃষ্টি বেশি হবে। আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, মৌসম ভবনের মাসিক আবহাওয়ার রিপোর্টের ক্যালেন্ডারে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টির যে উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে তা মূলত ২১ জুনের পরই। এক্ষেত্রে স্বাভাবিকের থেকে তখনই বেশি বৃষ্টি হয় যখন বর্ষার আগমন হয়।
দিন দুয়েক আগেই জানা যাচ্ছিল দক্ষিণবঙ্গে ১৩ জুন নাগাদ বর্ষা ঢুকতে পারে। এক্ষেত্রে বর্ষা ঢোকার যা সম্ভাবনা ছিল তাতে আগামী বুধবার হয়তো দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দক্ষিণবঙ্গে ঢুকতে পারত। কিন্তু এখন যা শোনা যাচ্ছে তা ইতিমতো হতাশ করার মত। কেননা এমনিতেই দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে যে পরিস্থিতি চলছে সেই পরিস্থিতি থেকে বৃহস্পতিবারের আগে মুক্তি পাওয়া যাবে না বলেই জানা যাচ্ছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে।