জানেন কেবল টিউশন পড়িয়ে কত টাকা রোজগার করেছেন জ্যোতিপ্রিয়র মেয়ে প্রিয়দর্শিনী! রইল ব্যাঙ্কের খতিয়ান

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : রেশন দুর্নীতি (Ration Corruption) মামলায় কোটি কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগে শুক্রবার ভোররাতে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। তার গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি সামনে আসছে। ইতিমধ্যেই ইডির তরফ থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে।

Advertisements

এই দুর্নীতির মামলায় ইতিমধ্যেই ১১ টি চালকলে অভিযান চালানো হয়েছে ইডির তরফ থেকে। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে একাধিক শেল কোম্পানির মাধ্যমে রেশনের টাকা নয়-ছয় হয়েছে। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই সকল ভুয়ো সংস্থা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তার পরিবারের সদস্যদের নামে চালানোর পাশাপাশি বাকিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠদের নামেও চালাতেন। এই পদ্ধতিতে ৯৫ কোটি টাকা তছুরুপ হয়েছে বলে দাবি ইডির।

Advertisements

এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পাশাপাশি তার স্ত্রী এবং মেয়ে প্রিয়দর্শিনীর উপার্জনের দিকেও নজর রাখছে ইডি। এমন পরিস্থিতিতেই আয়কর রিটার্নের তথ্য দেখে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ে প্রিয়দর্শিনী টিউশন পড়িয়েই নাকি ৩.৩৭ কোটি টাকা উপার্জন করেছেন। এই উপার্জন রীতিমতো অবাক করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের।

Advertisements

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ে প্রিয়দর্শনী মল্লিক একটি কলেজের সহকারী অধ্যাপিকা। সেই হিসাব অনুযায়ী তার বার্ষিক আয় হওয়া উচিত ২.৪৮ লক্ষ টাকা। কিন্তু ব্যাংকে রয়েছে ৩.৩৭ কোটি টাকা। এই টাকা কোথায় থেকে এলো সেই প্রসঙ্গে ইডি আধিকারিকদের তরফ থেকে প্রিয়দর্শিনীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তরে জানান, টিউশন পড়িয়ে এত টাকা রোজগার হয়েছে। প্রিয়দর্শিনীর এই টাকা রয়েছে ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি শাখায়।

প্রিয়দর্শনী মল্লিক এর আগে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব হিসেবে নিযুক্ত হবেন এমন নির্দেশিকা বের হয়েছিল। সেখানে নির্দেশিকাই বলা হয়েছিল তিন বছরের জন্য তিনি দায়িত্ব সামলাবেন। অন্যদিকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ের পাশাপাশি তার স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও রয়েছে কয়েক কোটি টাকা। মণিদীপার আইডিবিআই ব্যাংকে রয়েছে ৪.৩ কোটি টাকা। এই সকল টাকার উৎস এখন খুঁজছেন ইডি আধিকারিকরা।

Advertisements