AIIMS Hospital in WB: মাত্র ১০ টাকায় চিকিৎসা, রাজ্যে প্রথম চালু হতে চলেছে AIIMS, জানুন অন্যান্য পরিষেবার খরচ

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের প্রথম চালু হতে চলেছে এইমস হাসপাতাল (AIIMS Hospital in WB)। নদীয়ার কল্যাণীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়ে এই হাসপাতালের উদ্বোধন হবে বলেই জানা গিয়েছে সরকারি সূত্রে। এমন একটি হাসপাতালের উদ্বোধন পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনে দেবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এছাড়াও এই হাসপাতালকে ঘিরে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

২০১৪ সালে অনুমোদন পাওয়ার পর কল্যাণীর এই এইমস হাসপাতাল তৈরি করতে ২০১৫ সালে ১৭৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কল্যাণীতে এমন একটি হাসপাতাল তৈরি করার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ১৭৯.৮২ একর জমির বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়। অবশেষে দীর্ঘ ৯ বছরের অপেক্ষার পর এই হাসপাতালের উদ্বোধন হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার।

কল্যাণীতে AIIMS ইন্ডোর পরিষেবা চালু করার ক্ষেত্রে মোট ৯৬০ টি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২৫টি রয়েছে মেডিকেল শয্যা। এখানে চিকিৎসার জন্য মাত্র ১০ টাকায় একটি বুকলেট তৈরি করতে হবে এবং সেই বুকলেটের বৈধতা থাকবে এক বছরের জন্য। যে সকল মানুষদের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর ক্ষমতা নেই তারা এই হাসপাতালে অনেক সস্তায় চিকিৎসা করাতে পারবেন।

আরও পড়ুন 👉 Swasthya Sathi: ভিন রাজ্যের যেকোনো হাসপাতালে মিলবে স্বাস্থ্য সাথী পরিষেবা, তবে সবার জন্য নয়

এখানে চিকিৎসা করানোর জন্য ১০ টাকার বুকলেটের পাশাপাশি ৩৫ টাকা করে বেড ভাড়া নেওয়া হবে প্রতিদিনের জন্য। তবে একসঙ্গে ১০ দিনের বেড ভাড়া দিতে হবে, অর্থাৎ ৩৫০ টাকা দিতে হবে রোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের। আর এর সঙ্গে কসান মানি হিসাবে লাগবে ২৫ টাকা। সব মিলিয়ে ৩৭৫ টাকা দিতে হবে রোগীদের। তবে এই টাকার মধ্যেই রয়েছে খাবারের ব্যবস্থাও।

অন্যদিকে যাদের আয়ুষ্মান ভারত কার্ড থাকবে তারা পুরোপুরি ভাবে বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন কল্যাণীর এইমস হাসপাতালে। এখানেই পাওয়া যাবে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করানোর সুবিধা। ইউএসজি থেকে শুরু করে রক্ত পরীক্ষা সহ অন্যান্য যে সকল পরীক্ষা রয়েছে সেগুলির জন্য অনেক কম খরচ করতে হবে। মোটের উপর নদীয়ার কল্যাণীতে তৈরি হওয়া রাজ্যের প্রথম এইমস হাসপাতাল রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাই আমূল পরিবর্তন এনে দেবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এই হাসপাতালটির ফলে একদিকে যেমন হাজার হাজার রোগীরা স্বল্প খরচে উন্নত মানের চিকিৎসা পাবেন, ঠিক সেই রকমই আবার কর্মসংস্থানের দিক দিয়েও আসবে আমূল পরিবর্তন।