নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে যে সকল তীর্থক্ষেত্র রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি কালীঘাট মন্দির (Kalighat Temple)। ২০০ বছরের প্রাচীন এই মন্দিরকে ঘিরে প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গা থেকে পুণ্যার্থীদের ঢল নামতে দেখা যায়। আর এবার এই মন্দিরকে ধীরে আলাদা উৎসাহ উদ্দীপনা সাধারণ মানুষদের মধ্যে। কেননা এই মন্দির এবার সংস্কারের পর নবরূপে আত্মপ্রকাশ করবে। শুধু মন্দির নবরূপে আত্মপ্রকাশ নয়, পাশাপাশি উপহার হিসাবে মিলবে স্কাইওয়াকের (Skywalk)।
কালীঘাট মন্দির সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে। ১৮ মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ করার কথা থাকলেও কলকাতা পৌরসভার দায়িত্বে তা সম্ভব হয়নি। শেষমেষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাট মন্দির সংস্কারের কাজের দায়িত্ব তুলে দেন রিলায়েন্সের হাতে। মূলত ২০২৩ সালে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ মন্দির সংস্কারের দায়িত্ব নিজেদের হাতে নেয়। এখন প্রশ্ন হল চার বছরে যে কাজ করতে পারিনি কলকাতা পৌরসভা সেই কাজ রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ কত দিনে করবে? কবে নবরূপে দেখা যাবে কালীঘাট মন্দিরকে?
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারের দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার পর ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সেই কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজে নামে। কিন্তু কাজ চলতে চলতে দেখা যায়, ডিসেম্বরে পুরোপুরি ভাবে মন্দির সংস্কারের কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। এরপরই তাদের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় আরও কয়েক মাস সময় লাগবে মন্দির সংস্কারের জন্য।
আরও পড়ুন ? Kalighat Temple: দেখলে চোখ ফেরাতে মন চাইবে না! এত কেজি সোনায় মুড়ে ফেলা হলো কালীঘাট মন্দিরের চূড়া
কালীঘাট মন্দিরকে নতুন ভাবে সংস্কার করে নবরূপে মন্দির কমিটির হাতে তুলে দেওয়া রাজ্যের বাসিন্দাদের কাছে আলাদা প্রাপ্তির পাশাপাশি আরও এক বড় প্রাপ্তি হলো স্কাইওয়াক। ভক্তরা এখন নবরূপে কালীঘাট মন্দির পাওয়ার পাশাপাশি তাকিয়ে রয়েছেন স্কাইওয়াকের দিকে। মন্দির কমিটি সূত্রে এবং কাজের গতির পরিপ্রেক্ষিতে যা জানা যাচ্ছে তাতে এই অপেক্ষা আর বেশি দিন করতে হবে না। খুব তাড়াতাড়ি নব রূপে কালীঘাট মন্দির এবং স্কাইওয়াক উপহার হিসেবে পাবেন রাজ্যের বাসিন্দারা।
এখনো পর্যন্ত যেভাবে কাজের গতি চলছে সেই গতি অনুযায়ী আগামী আগস্ট মাসেই মন্দিরের সমস্ত রকম সংস্কারের কাজ শেষ হওয়ার পর তা নব রূপে আত্মপ্রকাশ করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে আগস্ট মাসেই উপহার হিসাবে উদ্বোধন হতে পারে কালীঘাট স্কাইওয়াকের। মন্দির সংস্কারের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই মন্দিরের চূড়া সোনায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে। আর গর্ভগৃহ সহ সমস্ত রকম সংস্কারের কাজ খুব তাড়াতাড়ি শেষ হবে বলে খবর।