নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেল (Indian Railways) দেশের কোটি কোটি মানুষের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিষেবা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ রেল পরিষেবার ওপর ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। রেল পরিষেবার এমন ব্যাপক চাহিদার কথা মাথায় রেখেই রেলের তরফ থেকে প্রতিনিয়ত তাদের এই পরিষেবাকে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা চালানো হয়।
পরিষেবাকে সাজিয়ে তোলার জন্য যেমন নতুন নতুন অত্যাধুনিক ট্রেন চালু করা হচ্ছে, ঠিক সেই রকমই ব্রিটিশ আমলের রেল স্টেশনগুলিকে আধুনিক রূপ দেওয়ার চেষ্টাও চালানো হচ্ছে। সরকারের তরফ থেকে রেল স্টেশনগুলিকে আধুনিক রূপ দেওয়ার জন্য অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় এবার আসানসোল ডিভিশনের ৫ রেল স্টেশনকে পুরোপুরি বদলে ভোল বদলানো হবে।
যে সকল স্টেশনকে আধুনিক রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তার মধ্যে আসানসোল রেল স্টেশন ছাড়াও রয়েছে পাণ্ডবেশ্বর, অন্ডাল, রানীগঞ্জ এবং কুমারডুবি রেল স্টেশন। রানীগঞ্জ রেলস্টেশনের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৩৫ কোটি টাকা, পাণ্ডবেশ্বরের জন্য ২১ কোটি টাকা, অন্ডালের জন্য ২০ কোটি টাকা এবং কুমারডুবি রেল স্টেশনের জন্য ১৭ কোটি টাকা। কোন কোন ক্ষেত্রে এই সকল রেলস্টেশনে আধুনিকীকরণ করা হবে?
আধুনিকীকরণের বিষয়ে রেল সূত্রে যা জানা যাচ্ছে তা হল, রাণীগঞ্জে বসানো হবে চলমান সিঁড়ি, লিফট, আধুনিক যাত্রী প্রতীক্ষালয়। সৌন্দর্যায়ন বৃদ্ধি করা হবে পাণ্ডবেশ্বর রেলস্টেশনের। অন্ডাল রেলস্টেশনে রানীগঞ্জ রেলস্টেশনের মতোই বসবে চলমান সিঁড়ি, লিফট এবং ফুটওভার ব্রিজ। এছাড়াও পাণ্ডবেশ্বর রেলস্টেশন এলাকা সংলগ্ন ঝাঁঝরা এবং সোনপুর বাজারি খনি থেকে প্রচুর কয়লা আনার কারণে এই সকল এলাকার উন্নয়নের কাজেও প্রচুর টাকা খরচ করা হবে। একইভাবে উন্নয়নের কাজ করা হবে ঝাড়খণ্ডের কুমারডুবি রেল স্টেশনেরও।
এই সকল আধুনিকীকরণের কাজ কবে শুরু হবে তা নিয়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। সম্প্রতি সেই সকল প্রশ্নের উত্তরে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছে, আসানসোল রেলস্টেশনের আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাকি চারটি রেল স্টেশনের কাজ শুরু হয়ে যাবে। ২০২৪ অর্থাৎ নতুন বছরেই এই কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।