সহজেই এক ট্রেনে যাওয়া যাবে মুকুটমণিপুর! এসে গেল রেলের রিসেন্ট আপডেট

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের মতো বিপুল জনসংখ্যার দেশে প্রতিদিন প্রায় এক কোটি মানুষ কেবলমাত্র ট্রেনের উপর নির্ভর করেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। বিপুল সংখ্যার মানুষের এমন নির্ভরশীলতার কারণে ভারতীয় রেল (Indian Railways) হয়ে উঠেছে গণপরিবহনের মেরুদন্ড। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, রেল পরিষেবার ওপর দেশের মানুষের এত নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হল, সস্তা এবং নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দে যাতায়াত। এই তিনটি বিষয় মাথায় রেখেই অধিকাংশ যাত্রীরা তাদের যাতায়াতের জন্য ট্রেনকে বেছে নেন।

ভারতীয় রেলের তরফ থেকে মানুষের এমন ব্যাপক চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রতিনিয়ত নানান ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হচ্ছে। দেশে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের মতো যেমন নতুন নতুন প্রিমিয়াম ট্রেন নামানো হচ্ছে, ঠিক সেই রকমই আবার রেলপথকে দেশের কোনায় কোনায় পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। কেননা দেশের প্রতিটি কোণেরই মানুষ চান তাদের ধারে কাছেও যেন রেল পরিষেবা থাকে।

এই সকল চাহিদা এবং দাবী দেওয়ার মধ্যেই ভারতীয় রেলের তরফ থেকে নতুন একটি আপডেট পাওয়া গেল। নতুন সেই আপডেট হলো মুকুটমণিপুর (Mukutmanipur) পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণ। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Bandopadhyay) একটি চিঠি দিয়েছেন। যে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে জমি জটের কারণে। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে ওই চিঠিতে।

২০০৫-০৬ সালে বাঁকুড়ার ছাতনা থেকে মুকুটমনিপুর পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। ইন্দপুর, খাতরা হয়ে এই রেলপথ পৌঁছে যাবে পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র মুকুটমণিপুরে। এই রেলপথ তৈরির কাজ যাতে দ্রুত শেষ করা যায় তার জন্য রেলের তরফ থেকে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব প্রাথমিক সমীক্ষার কাজ সেরে এই প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে ৮০০ একর জমি অধিগ্রহণ করে রেলের হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

ইতিমধ্যেই এই রেলপথ প্রকল্পের জন্য ছাতনা থেকে ইন্দপুর পর্যন্ত জমি রেলের হাতে চলে এসেছে। সেই জমি হাতে আসার পর এই রেলের তরফ থেকে প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করেও দেওয়া হয়। কিন্তু বাকি জমি না মেলায় মাঝ পথেই কাজ থমকে যায়। এছাড়াও জানা যাচ্ছে ৮০০ একর জমির মধ্যে ৫২১ একর জমি অধিগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। ফলে রাজ্য সরকারের তৎপরতা শুরু হলেই বাকি জমি রেলের হাতে আসবে এবং এই রেলপথ তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে। এই রেলপথ তৈরি হলেই মুকুটমণিপুর পর্যটকদের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে।