নিজস্ব প্রতিবেদন : বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে স্থলভাগের দিকে এগোচ্ছে। প্রথম থেকেই বিভিন্ন হাওয়া অফিসের তরফ থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছিল এই নিম্নচাপটি শক্তি সঞ্চয় করে অতি গভীর নিম্নচাপ (Deep Depression) অথবা ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone) পরিণত হতে পারে। সময় যত এগিয়ে চলেছে ততই সেই আশঙ্কাতেই শিলমোহর পড়ছে। আইএমডির (IMD) তরফ থেকে সর্বশেষ যে আপডেট দেওয়া হয়েছে তা থেকে এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
আইএমডির তরফ থেকে যে শেষ আপডেট পাওয়া গিয়েছে তা থেকে জানা যাচ্ছে, বর্তমানে অতি গভীর ওই নিম্নচাপ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর অবস্থান করছে। উড়িষ্যার পারাদ্বীপের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বের ১৯০ কিলোমিটার, পশ্চিমবঙ্গের দীঘার দক্ষিণের ২৮০ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমে ৩৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
শুক্রবারে এই অতি গভীর নিম্নচাপ শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলেই আশঙ্কা করছে হাওয়া অফিস। এরপর সেই সিস্টেম ঘূর্ণিঝড় ঢুকবেই বাংলাদেশের মংলা এবং খেপুপাড়ার মাঝখানের ভূভাগে প্রবেশ করবে। এই সিস্টেম ভূভাগে প্রবেশ করার সময় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার এবং দমকা হওয়ার গতিবেগ পৌঁছে যাবে ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটারে।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই সিস্টেম শক্তি সঞ্চয় করে ধীরে ধীরে অতি গভীর নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করার কারণে শুক্রবার থেকেই ঝোড়ো হাওয়া লক্ষ্য করা যাবে বঙ্গোপসাগরে। ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ৬৫ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। ১৮ নভেম্বর অর্থাৎ শনিবার এই দমকা হাওয়া এবং ঝড়ের গতিবেগ আরও বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছে যেতে পারে ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটারে।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই সিস্টেম বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে গেলেও এর প্রভাব পড়তে দেখা যাবে দক্ষিণবঙ্গের অন্ততপক্ষে ১৫ জেলায়। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে এই দুই জেলার জন্য কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর এবং হাওড়াতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। অন্যদিকে নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং হুগলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।