নিজস্ব প্রতিবেদন : বুধবার থেকে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন তৃণমূলপন্থী বিদ্বজ্জন কবির সুমন (Kabir Suman)। তিনি হঠাৎ এমন আলোচনায় আসেন মূলত তার একটি মন্তব্যে। এদিন তিনি মন্তব্য করেন, ‘আমি ৫ বার বিয়ে করেছি। যতবারই বিয়ে করা হোক না কেন মনে হবে বিয়ে করে ঠিক হয়নি।’ কবীর সুমন এমন মন্তব্য করেন মূলত অপর্ণা সেনের (Aparna Sen) পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে। দিনকয়েক আগেই অপর্ণা সেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি খোলা চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘বামেদের সরানো প্রয়োজন ছিল, কিন্তু এই পরিবর্তন চাননি।’
মমতা বিদ্বজ্জনদের যুক্তি অথবা মমতার বিরুদ্ধে থাকা বিদ্বজ্জনদের যুক্তি যাই হোক না কেন, এদিনের কবীর সুমনের এমন মন্তব্য নিয়ে সমাজে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেই সকল প্রশ্নের মধ্যে বিশ্বয়কর ব্যাপারটি হল পাঁচ পাঁচটা বিয়ে! উইকিপিডিয়াতেও উল্লেখ রয়েছে সুমন চট্টোপাধ্যায়, পরবর্তীতে যিনি ধর্মান্তরিত হয়ে হন কবির সুমন, তার সত্যিই ৫ টি বিয়ে। এখন প্রশ্ন হল তার পাঁচ জন স্ত্রীর নাম কি?
কবীর সুমন ১৯৬৯ সালে আমেরিকা পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখানে তার পরিচয় হয়েছিল সোফিয়া নাজমা চৌধুরীর সঙ্গে। ভয়েস অফ আমেরিকায় বাংলাদেশি সোফিয়া নাজমা ছিলেন কবীর সুমনের সহকর্মী। কর্মসূত্রে বন্ধুত্ব এবং সেখান থেকে প্রেম। এরপর আমেরিকায় ১০ বছর কাটিয়ে তারা দুজনেই নিজের নিজের দেশে ফিরে আসেন। নাজমা ঢাকায় কিছুদিন থাকার পর চলে আসেন কলকাতায়। এরপর কবির সুমন নাজমাকে বিয়ে করেন এবং গড়িয়া রেলস্টেশনের কাছে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
নাজমাকে বিয়ে করার সময় সুমন চট্টোপাধ্যায় অর্থাৎ কবির সুমন প্রথমবার ধর্মান্তরিত হন এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তার নাম হয় মহম্মদ ফারুক। এরপর তারা দুজনে চাকরি করতে চলে যান জার্মানিতে। সেখানে যোগ দেন ভয়েস অফ জার্মানি সংস্থায়। কিন্তু এরই মধ্যে তাদের জীবনে আসে নতুন মোড় এবং তাদের বিয়ে ভেঙে যায়। নাজমার সঙ্গে বিয়ে ভাঙ্গার পর সুমনের জীবনে আসে নতুন এক যুবতী আর তিনি হলেন মারিয়া।
সুমনের জীবনে মারিয়া আসার পর তাকে তিনি বিয়ে করেন। এরপর ভার্জিনিয়াকে মেয়ে হিসাবে দত্তক নেন তারা। এই সময় আবার কবির সুমন, সুমন চট্টোপাধ্যায় হিসাবে বিয়ে করেছিলেন। অর্থাৎ তিনি একজন হিন্দু হিসাবে মারিয়াকে বিয়ে করেছিলেন। তবে এরপর মারিয়া সুমনের বিরুদ্ধে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন। যে ঘটনায় সুমন চট্টোপাধ্যায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছিলেন।
এরপর আবার ২০০১ সাল থেকে সুমন চট্টোপাধ্যায়ের বাংলাদেশ যাতায়াত বেড়ে যায়। সেখানে তার সঙ্গে পরিচয় হয় সাবিনা ইয়াসমিনের এবং বাড়তে থাকে ঘনিষ্ঠতা। কিন্তু মারিয়ার সঙ্গে যেহেতু সুমনের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি তাই তিনি সাবিনা ইয়াসমিনকে বিয়ে করতে পারেননি। এমন পরিস্থিতিতে তাকে বিয়ে করার জন্য ফের ইসলাম ধর্মের শরণাপন্ন হন তিনি। তখন থেকেই আবার সুমন চট্টোপাধ্যায় হয়ে যান কবির সুমন। এরপর তিনি তাকে বিয়ে করেন। বিভিন্ন সূত্র মারফত কবির সুমনের সঙ্গে এই ৩ জন মহিলার ঘনিষ্ঠতা এবং বিয়ে সম্পর্কে জানা যায়। তবে বাকিদের তথ্য আমাদের হাতে আসেনি।