নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারের আসার পর রাজ্যের সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে পড়ুয়াদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প (Government Scheme) চালু করেছে। এই সকল প্রকল্পের মধ্য দিয়ে প্রতিদিন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। রাজ্য সরকারের ইতিমধ্যেই লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্য সাথী, স্টুডেন্ট কার্ড ইত্যাদি প্রকল্প সুপার-ডুপার হিট। এসবের মধ্যেই এবার সোমবার থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) চালু করে দিলেন যোগ্যশ্রী প্রকল্প (Yoggyashree Scheme)।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সোমবার নতুন যে প্রকল্পের উদ্বোধন করা হলো তা রাজ্য সরকারের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ বিভাগের দ্বারা পরিচালিত হবে। এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী, বিশেষ করে তপশীলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর পড়ুয়ারা, যারা অর্থের অভাবে চাকরির জন্য ট্রেনিং নিতে পারেন না তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। JEE, NEET ও WBJEE সহ বিভিন্ন ধরনের সরকারি চাকরির জন্য প্রশিক্ষণ দেবে রাজ্য সরকার। এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
রাজ্য সরকারের নতুন এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে রাজ্যের প্রায় ৫০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ২০২৪ সালে ২৩০০ জন তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি একই ধরনের প্রশিক্ষণ আগে রাজ্য জুড়ে চললেও তার প্রশিক্ষণ সময় ছিল ১৯৬ ঘন্টা। এবার এই নতুন প্রকল্পের মধ্য দিয়ে সেই সময় বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৩২০ ঘন্টা। নতুন এই প্রকল্পে প্রশিক্ষণের জন্য যোগ দিতে কিভাবে আবেদন করবেন?
যোগ্যশ্রী প্রকল্পের মধ্য দিয়ে প্রশিক্ষণের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। https://www.wbbcdev.gov.in/ ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন জানাতে হবে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের। এই ওয়েবসাইটে আবেদন করার পর তাদের নিকটবর্তী বিভিন্ন সেন্টারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। রেল, ব্যাংক, পোস্ট অফিস, সামরিক ও আধা সামরিক, পুলিশ এবং অন্যান্য সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে গ্রুপ বি, সি ও ডি পদের জন্য প্রাক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
যোগ্যশ্রী প্রকল্পের মধ্য দিয়ে প্রতি জেলায় দুটি করে সেন্টার তৈরি করা হবে। যদিও প্রথম বছর অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে একটি করে সেন্টার থেকে কাজ চালানো হবে। হিসেব অনুযায়ী প্রথম বছর ২৩ টি সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং পরবর্তী বছরগুলিতে সেন্টার সংখ্যা ডবল অর্থাৎ ৪৬ করা হবে। সেই মোতাবেক প্রথমে ২৩০০ জন এবং পরবর্তীতে আরও পড়ুয়াদের সংখ্যা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে।