নিজস্ব প্রতিবেদন : বুধবার সকাল থেকে ফের একবার খবরের শিরোনামে উঠে এলেন টলিউড অভিনেত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি তাকে তলব করে, আর এই তলবের পর থেকেই সায়নীকে নিয়ে উঠছে নানান প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি সায়নী ঘোষও নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সঙ্গে জড়িত? এর পাশাপাশি যখনই সায়নী ঘোষকে ইডি তলব করে ঠিক সেই সময়ই নেটিজেনদের একাংশের মধ্যে কৌতূহল জাগতে শুরু করেছে, কত টাকার সম্পত্তি বানিয়েছেন সায়নী ঘোষ?
সায়নী ঘোষ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে রোজগার করেছিলেন ৪৯ লক্ষ ২ হাজার ৫৬৮ টাকা ৩২ পয়সা। এক অর্থবর্ষে এত টাকা রোজগার করা মানেই বোঝা যায় সায়নী ঘোষের সম্পত্তির পরিমাণ কত হতে পারে। তবে যতটা ভাবছেন ততটা নয়। কেননা তিনি যখন ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তখন তার হাতে ছিল মাত্র ৩২ হাজার ৭৭৫ টাকা নগদ।
অভিনেত্রী তথা রাজনীতিক সায়নী ঘোষের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেই সকল অ্যাকাউন্টে থাকা গচ্ছিত রাশির পরিমাণ ১০ লক্ষ ৩৩ হাজার ৮২৫ টাকা ৮ পয়সা। তিনি কোন টাকা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেননি বলে জানা যায়। জীবনবীমা ক্ষেত্রে তিনি বিনিয়োগ করেছেন মোট ৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৩৭৬ টাকা।
তার কাছে যে একটি হোন্ডা জ্যাজ গাড়ি রয়েছে, যেটি তিনি কিনেছিলেন ২০১৭ সালে। এই গাড়িটির সেই সময় দাম পড়েছিল ৬ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩৬৯ টাকা। সায়নীর কাছে রয়েছে চার গ্রাম সোনার অলংকার। যার মূল্য আনুমানিক ২৫ হাজার টাকার কাছাকাছি। সায়নীর নামে কোনরকম জমিজমা অথবা বাড়ি ঘর নেই। যাদবপুরে তার একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ৬৭০ বর্গফুটের ওই ফ্ল্যাটটি সায়নী ২০১৫ সালে কিনেছিলেন ২৪ লক্ষ ১ হাজার টাকায়। বর্তমানে এর বাজার মূল্য ৩৪ লক্ষ টাকার বেশি।
সায়নী ঘোষের আর যাই হোক বিপুল পরিমাণ ঋণ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বাড়ি গাড়ি সব মিলিয়ে তার ঋণের পরিমাণ ৬৪ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৫৬ টাকা ৫২ পয়সা। ব্যাঙ্ক ছাড়াও অন্য ক্ষেত্রে তার ঋণ রয়েছে এবং সব মিলিয়ে ঋণের পরিমাণ ৮৩ লক্ষ ৮২ হাজার ৭৫১ টাকা ৫২ পয়সা। তবে সায়নী ঘোষের এই সকল সম্পত্তির পরিমাণ ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী। যে সময় তিনি আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। বর্তমানে তার সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে, নাকি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে অথবা সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে বা ঋণের পরিমাণ কি অবস্থায় রয়েছে তা সম্পর্কে জানা যায়নি।