নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেলের (Indian Railways) ওপর নির্ভর করে প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত করে থাকেন। এই সকল যাত্রীদের মধ্যে বড় সংখ্যার যাত্রীরা EMU এবং MEMU ট্রেনের উপর নির্ভর করে যাতায়াত করেন। এগুলি মূলত কম দূরত্বের রাস্তায় যাতায়াত করে থাকে। তবে EMU ট্রেনের তুলনায় MEMU ট্রেনে (EMU vs MEMU) যাত্রীরা অনেক বেশি সুবিধা পেয়ে থাকেন।
যাত্রীদের অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ দেওয়ার জন্য রেলের তরফ থেকে বেশ কিছু রুটে এখন MEMU ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তবে যে সকল যাত্রীরা EMU অথবা MEMU ট্রেনে যাতায়াত করে থাকেন তাদের অনেকেই এই দুই ট্রেনের পার্থক্য জানেন না। অনেকেই দুটি ট্রেনকে একই ভাবেন, তবে তা কিন্তু নয়।
EMU ট্রেনের কোচগুলি চওড়া হয়ে থাকে এবং এর দরজা-জানলাও অনেকটাই চওড়া। যে কারণে খুব সহজেই ট্রেনের মধ্যে হাওয়া বাতাস খেলতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম ওই ট্রেন চালু হয়েছিল ১৯৫৭ সালে হাওড়া থেকে শেওড়াফুলি সেকশনে। EMU হল ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট। এই ট্রেনে একটি মোটর কোচ এবং দুটি ট্রেলার কোচ থাকে। এই ধরনের ট্রেনগুলি সাধারণত ৯ অথবা ১২ কোচের হয়ে থাকে। মোটর কোচে ৯৮ জন এবং ট্রেলার কোচে ১১৩ জন যাত্রী বসতে পারেন। এছাড়াও এই সকল ট্রেনে ভেন্ডার কোচ থাকে যেগুলিতে ৮৬ জন যাত্রী বসতে পারেন।
আরও পড়ুন ? North Bengal Tour: বাংলার বুকে রয়েছে এমন এক ট্রেন, যাতে চড়লে গ্যারান্টি মন জুড়িয়ে যাবে
EMU ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৯৬ কিলোমিটার হয়ে থাকে। এই ট্রেনে কোনরকম শৌচাগার থাকে না। এই ট্রেনের ডিসি মোটরগুলি চলে থাকে ২৫ কেভি এসি ট্র্যাকশন এবং কনভার্টারের সাহায্যে। এই সকল ট্রেন মূলত স্থানীয়ভাবে ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। শহরতলীর সঙ্গে শহরের যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করা হয় ইএমইউ ট্রেন।
MEMU ট্রেন হল মেনলাইন ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট। এই ট্রেনের যে সকল ট্রেলার কোচ রয়েছে সেগুলিতে দুটি করে শৌচাগার থাকে। এই ট্রেনের কোচগুলি একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত এবং একটি করিডর তৈরি করে থাকে। এই ট্রেনগুলিও ২০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে চালিয়ে থাকে রেল। এই সকল ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১০০ থেকে ১০৫ কিলোমিটার। যদিও ইদানিংকালে রেলের তরফ থেকে এই ধরনের ট্রেনের মোটরের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে গতিবেগ আরও বাড়ানো হচ্ছে এবং আরও বেশি দূরত্বের রাস্তায় চালানোর বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।