ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক, ভারতের এই ৫টি শহরেও প্রবল ঝুঁকি, সামনে এলো তালিকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : শতাব্দীর ভয়ংকর ভূমিকম্পের (earthquake) সম্মুখীন তুরস্ক (earthquake in turkey)। পরপর তিনবার ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এই দেশে ইতিমধ্যেই প্রাণহানির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৬০০০। এত সংখ্যক মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় হাহাকার বইছে চারদিকে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে বৈ কমবে না। অন্যদিকে তুরস্কে এই ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের পর বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিও কতটা ভূমিকম্প প্রবণ তা নিয়ে শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া। আর তাতেই ভারতের জন্যও উঠে আসছে অশনি সংকেত (India earthquake region know the different earthquake prone areas)।

ভারতে একাধিক জায়গা রয়েছে যেগুলি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। বিজ্ঞানের ভাষায় যেগুলিকে বলা হয় হাই-সিসমিক জোন। এই সকল অঞ্চলের বাসিন্দাদের সবসময় সতর্ক থাকা দরকার। বেসরকারি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা স্কাইমেটের তরফ থেকে পাঁচটি শহরকে সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার মধ্যে রাখা হয়েছে।

যে পাঁচটি শহর সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার মধ্যে রয়েছে তার মধ্যে তালিকায় প্রথম গুয়াহাটি। এই এলাকার জোন ৫ এলাকায় পড়ে। একইভাবে জোন ৫ এলাকায় পড়ে শ্রীনগর। ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরও। এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি।

অন্যদিকে সিসমিক জোন ৩ এলাকার মধ্যে রয়েছে মুম্বাই। চেন্নাই একসময় সিসমিক জোন ২ এলাকার অন্তর্ভুক্ত থাকলেও তা বর্তমানে সিসমিক জোন ৩ তে প্রবেশ করেছে।

এছাড়াও সিসমিক জোন ৫ এলাকার অন্তর্ভুক্ত হিসাবে যে সকল জায়গা রয়েছে সেগুলি হল উত্তরপূর্ব ভারত, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাঞ্চল, কচ্ছের রাণ, উত্তর বিহার, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ।

জোন ৪ এলাকার মধ্যে রয়েছে জম্মু কাশ্মীরের বাকি এলাকা, হিমাচল প্রদেশ, দিল্লি, সিকিম, উত্তরপ্রদেশের উত্তর এলাকা, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাটের কিছু এলাকা, মহারাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলীয় অংশ ও রাজস্থান।

জোন ৩ এলাকায় রয়েছে কেরালা, গোয়া, লাক্ষাদ্বীপ, উত্তরপ্রদেশের বাকি এলাকা, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাবের কিছু এলাকা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, উড়িষ্যা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাডু, কর্ণাটক। দেশের বাকি অংশ রয়েছে জোন ২-এর অন্তর্ভুক্ত।