লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ফেল! বিজেপির বাজিমাত ‘লাডলি বহেনা যোজনা’য় মিলবে নগদ সহ এইসব সুবিধা

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে সেমিফাইনাল হিসেবেই আখ্যা দিয়েছে রাজনৈতিক মহল। এই সেমিফাইনালে ইতিমধ্যেই ৩-১ এ কংগ্রেসকে (Congress) ধরাশায়ী করেছে বিজেপি (BJP)। কংগ্রেসের হাত থেকে রাজস্থান এবং ছত্তিশগড় ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশে বিজেপির এমন জয়ের পিছনে ‘লাডলি বহেনা যোজনা’র (Ladli Behna Yojana) বড় হাত রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে বিভিন্ন মহলের তরফ থেকে।

বিজেপির লাডলি বহেনা যোজনার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূলের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পের অনেক মিল রয়েছে। যে কারণে তৃণমূলের তরফ থেকে আবার দাবি করা হচ্ছে, মমতার প্রকল্পকে কপি করে বিজেপি মধ্যপ্রদেশে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখল। প্রকল্পের ক্ষেত্রে শিবরাজ সিং চৌহানের লাডলি বহেনা যোজনা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের মত হলেও টাকার অঙ্কে কিন্তু লক্ষ্মীর ভান্ডারকে ফেল করিয়ে দিয়েছে। লাডলি বহেনা যোজনার মাধ্যমে কি কি সুবিধা দেওয়া হবে চলুন দেখে নেওয়া যাক।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে যেমন রাজ্যের সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলাদের প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয়, ঠিক সেই রকমই লাডলি বহেনা যোজনা প্রকল্পের মাধ্যমেও মহিলাদের নগদ টাকা দেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে টাকার অংক অনেকটাই বেশি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি মাসে লাডলি বহেনা-দের অ্যাকাউন্টে ১২৫০ টাকা করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ বছরে তারা পাবেন ১৫০০০ টাকা।

এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন যারা ১৯৬৩ সালের ১ জানুয়ারির পর জন্মগ্রহণ করেছেন এবং ২০০০ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছেন। অর্থাৎ হিসেব অনুযায়ী ২১ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। প্রত্যেক উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি এই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়াও বিবাহবিচ্ছিন্না এবং বিধবারাও এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।

স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। অন্যদিকে যে সকল পরিবারের বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার বেশি তারাও এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। এই প্রকল্পের আবেদন ফর্ম পেতে কোন সরকারি অফিসে ছোটাছুটি করতে হবে না। সরকারি কর্মীরায় বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেবে ফর্ম। ঘরে বসে ফিলাপ করেই সেই ফর্ম জমা দেওয়া যাবে। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করে আবেদন নেওয়া হবে। ২০২৪ সালের ২৩ মার্চ থেকে এই প্রকল্পের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে যাবে।