নিজস্ব প্রতিবেদন : রেশন (Ration) ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে দেশের প্রত্যেক নাগরিকদের বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়ে আসছে করোনাকাল থেকে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই এখন রেশন কার্ড (Ration Card) দেশের প্রত্যেক নাগরিকের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কার্ডে পরিণত হয়েছে। দেশের সমস্ত জায়গার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারাও প্রত্যেক মাসে রেশন কার্ডে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী পাচ্ছেন।
পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকরা খাদ্য সাথী প্রকল্পের (Khadya Sathi) আওতায় বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী পেয়ে থাকেন। তবে খাদ্য সামগ্রীর পরিমাণ আলাদা আলাদা হয়ে থাকে মূলত রেশন কার্ডের ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে। ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে কোন রেশন কার্ডে চাল গম অথবা আটা বেশি পরিমাণে দেওয়া হয় আবার কোন কোন রেশন কার্ডের ক্ষেত্রে পরিমাণ কম থাকে। আর এই সমস্ত ক্যাটাগরির উপভোক্তারা যাতে রেশন নিতে গিয়ে কোনরকম প্রতারণা বা ঠকে না যান তার জন্য সরকারের তরফ থেকে তাদের কার্ডের ভিত্তিতে মেসেজ করে জানিয়ে দেওয়া হয় কোন রেশন কার্ডে কত পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী পাওয়া যাবে। জুলাই মাসের (Ration in July) ক্ষেত্রেও কি কি খাদ্য সামগ্রী পাওয়া যাবে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের যে সকল উপভোক্তাদের কাছে RKSY-I রেশন কার্ড রয়েছে তারা জুলাই মাসে মাথাপিছু ২ কেজি করে চাল এবং ৩ কেজি করে গম পাবেন। তবে যদি গমের সাপ্লাই ঠিকঠাক না থাকে তাহলে গমের পরিবর্তে আরও ৩ কেজি চাল দিয়ে মোট ৫ কেজি চাল দেওয়া হতে পারে। এছাড়া আর কিছু পাওয়া যাবে না।
যে সকল উপভোক্তাদের কাছে RKSY-II রেশন কার্ড রয়েছে তারা জুলাই মাসে বিনামূল্যে পাবেন ১ কেজি চাল এবং ১ কেজি গম। যদি গম না থাকে তাহলে উপভোক্তাদের গমের পরিবর্তে সমপরিমাণ চাল নিতে হবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে উপভোক্তাদের ২ কেজি চাল পাবেন বিনামূল্যে।
যে সকল উপভোক্তাদের কাছে SPHH এবং PHH রেশন কার্ড রয়েছে তারা দুই রেশন কার্ডের ক্ষেত্রেই সমপরিমাণ খাদ্য সামগ্রী বিনামূল্যে পাবেন। জুলাই মাসে এই ধরনের রেশন কার্ড যে সকল উপভোক্তাদের কাছে রয়েছে তারা পাবেন বিনামূল্যে ৩ কেজি চাল এবং ১ কেজি ৯০০ গ্রাম আটা অথবা ২ কেজি গম। কোন উপভোক্তা চাইলে গমের পরিবর্তে চাল নিতে পারেন।
রাজ্যের যে সকল নাগরিকদের কাছে AAY অর্থাৎ অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা প্রকল্পের রেশন কার্ড রয়েছে তাদের পরিবার কিছু দেওয়া হবে ২১ কেজি চাল এবং ১৩ কেজি ৩০০ গ্রাম আটা অথবা ১৪ কেজি গম। এই সকল সামগ্রীর জন্য তাদের কোনরকম টাকা দিতে হবে না। এছাড়াও এক কেজি চিনি দেওয়া হবে, কিন্তু সেই এক কেজি চিনির জন্য উপভোক্তাদের ১৩.৫০ টাকা দিতে হবে।