নিজস্ব প্রতিবেদন : শীতের মরশুমের আগে একের পর এক ঘূর্ণাবর্ত, নিম্নচাপ তৈরি হতে দেখা যাচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। এমন সব পরিস্থিতির কারণে রীতিমত ব্যাঘাত ঘটছে শীতের আগমনে। এইরকম পরিস্থিতি চললে শীতের আগমন যেমন বাধা পাবে ঠিক সেই রকমই আবার সমস্যা তৈরি হবে শীতকালীন চাষ আবাদের ক্ষেত্রেও। কেননা ফের একটি ঘূর্ণাবর্ত দানা বেঁধেছে সাগরে এবং সেই ঘূর্ণাবর্ত এখন ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) তৈরি হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং দক্ষিণ থাইল্যান্ড এলাকায় রবিবার যে ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছিল তা শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। শেষ আপডেট অনুযায়ী সেই নিম্নচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন মালাক্কা প্রণালী এলাকায়। এই নিম্নচাপ ক্রমশ অগ্রসর হচ্ছে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে। বুধবার এই নিম্নচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।
বঙ্গোপসাগরে পৌঁছানোর পর সেই নিম্নচাপ আরও শক্তি সঞ্চয় করবে এবং তিনদিনের মধ্যে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে জানা যাচ্ছে হাওয়া অফিস সূত্রে। এই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তার নাম হবে মিগজাউম। শুক্রবার বঙ্গোপসাগরে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার আগে ইতিমধ্যেই এটি বাংলার জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে পুরো বিষয়টির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে যা জানা গিয়েছে তাতে এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের আশঙ্কার তেমন কোন কারণ নেই। কিন্তু এই ঘূর্ণিঝড় গলার কাঁটার মতো লেগে থাকবে বাংলার কপালে। সাগরে তৈরি হওয়া এই পরিস্থিতির কারণে বাধা প্রাপ্ত হবে শীতল হাওয়া আর শীতল হাওয়া বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার ফলে তাপমাত্রার পারদ বৃদ্ধি পাবে বাংলায়।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে যা জানানো হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, সাগরে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কারণে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জায়গাতেই শীতের শিরশিরানিভাব কমে যাবে। তাপমাত্রার পারদ থাকবে উর্ধ্বমুখী। এক ডিগ্রি থেকে দুই ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রার পারদ বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়াও জানানো হয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রত্যক্ষ প্রভাব বাংলার উপর নাও পড়তে পারে। আকাশ মেঘে ঢাকা থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।