নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে প্রধানমন্ত্রীর কুরসিতে বসার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সেই সকল পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে বুলেট ট্রেন (Bullet Train)। বিশ্বের উন্নত দেশগুলিতে বুলেট ট্রেন এক জায়গা থেকে অন্য যাতায়াত করে থাকে আর সেই রকমই ভারতের মাটিতেও বুলেট ট্রেন ছুটানোর লক্ষ্য নিয়ে নামে কেন্দ্র।
এমনিতে ভারতীয় রেল (Indian Railways) বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক। এই রেল নেটওয়ার্কের উপর ভর করে প্রতিদিন দেশের হাফ কোটির বেশি মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের কথা মাথায় রেখে রেলের তরফ থেকে নানান পরিবর্তন আনা হয়। আর সেই সকল পরিবর্তনের মধ্যেই ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে বিভিন্ন রুটে চালানো হচ্ছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস দেশীয় প্রযুক্তির ট্রেন হলেও কিন্তু বুলেট ট্রেন পুরোপুরি ভাবে জাপানি প্রযুক্তির ট্রেন হতে চলেছে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (JICA) সঙ্গে ভারত চুক্তি বেঁধে বুলেট ট্রেন চালাবে। বিভিন্ন রুটে দ্রুত আগামী এই ট্রেন চালানোর জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বুলেট ট্রেন চালানোর জন্য উপযুক্ত করিডর তৈরি করার কাজ চলছে। আর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৬ অথবা ২০২৭ সালেই ভারতের মাটিতে চলবে বুলেট ট্রেন।
ভারতে যে বুলেট ট্রেন চলবে তা সম্পর্কে ন্যাশনাল হাইস্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (NHRCL) এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, E5 সিরিজ শিনকানসেন ট্রেনের কোচগুলি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই কোচগুলি ভারতের গরম আবহাওয়া যেমন সহ্য করতে সক্ষম ঠিক সেই রকমই ভারতের ধুলো বালিও সহ্য করতে সক্ষম। মোটের উপর ভারতীয় প্রকৃতির উপর সামঞ্জস্য রেখে এই ট্রেনের কোচ তৈরি করা হচ্ছে।
ভারতে যে বুলেট ট্রেন প্রথম চলবে সেই বুলেট ট্রেনগুলিতে ১০টি কোচ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। ট্রেনটিতে ৬৯০ জন যাত্রী একসঙ্গে চড়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত করতে পারবেন। ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেনের গতিবেগ হবে ঘন্টায় ৩২০ কিলোমিটার। ভারতের মাটিতে প্রথম বুলেট ট্রেন চালানোর জন্য মুম্বাই আমেদাবাদের মধ্যে যে করিডর তৈরি করা হচ্ছে তার খরচ ১.৬ লক্ষ কোটি টাকা।